4:20 pm , November 15, 2024
জুম্মাবার
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ শেষ জমানায় রাসুলে করিম (সা:) এর সুন্নাহ আঁকড়ে থাকা খুবই কঠিন কাজ হবে। বুখারী শরীফের হাদিসে উল্লেখ আছে, এই সময় নবী করিম (সা:) এর একটি সুন্নাহও যে আঁকড়ে থাকবে তাকে দশজন শহীদের সম্মান দেয়া হবে উল্লেখ করে বরিশালের সড়ক ও জনপথ মসজিদের ঈমাম আবুল বাসার গাজী বলেন, বর্তমান জমানাতে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় আচার-অনুষ্ঠানে অনেক কিছু নতুন নতুন সংযোজন দেখা যায়। যা নবী করিম (সা:) এর জমানায় ছিলো না। মুসলমানদের মনে রাখতে হবে আমার আপনার প্রিয় নবী রাসুলে করিম (সা:) যা করেন নাই, তা করাটাই বেদাত। ইসলামের ভিতর নবী করিম (সা:) এর অনুসরণ না করে ইহুদি নাসারার সংস্কৃতির প্রবেশ ঘটানো পুরোপুরি বেদাত। এই সুন্নাহের অনুসরণ খুবই কম। শুক্রবার জুম্মার নামাজের বয়ানে ঈমাম আবুল বাসার সূরা আল ইমরান আয়াত-৩১ এর উল্লেখ করেন। যেখানে আল্লাহ বলেছেন, হে নবী আপনি বলে দিন, ‘যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তবে আমার অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহ সকল ক্ষমা করবেন, বস্তুতঃ আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’। ঈমাম আবুল বাসার গাজী এসময় সূরা আহজাব থেকে আয়াত-২১ পাঠ করেন। যেখানে আল্লাহ বলেছেন, “তোমাদের জন্য আল্লাহর রসূলের মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে, যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের আশা রাখে আর আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তারা যেন অবশ্যই রাসুলের অনুসরণ করে। এ সংক্রান্ত হাদিসে উল্লেখ আছে যে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, ওমর (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা:) আমাকে বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের বাপ-দাদার নামে কসম করতে নিষেধ করেছেন। ওমর (রা.) বলেন, আল্লাহর কসম! যখন থেকে আমি রাসুলুল্লাহ (সা:)-কে এ কথা বলতে শুনেছি, তখন থেকে আমি তাদের নামে কসম করিনি; মনে থাকা অবস্থাতেও না, অন্যের কথা উদ্ধৃত করেও না।’ (সহিহ বুখারি: ৬৭৪৪)আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স:) এক ব্যক্তির হাতে একটি স্বর্ণের আংটি দেখে সেটি খুলে ফেলে দিলেন এবং বললেন, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ আগুনের টুকরা সংগ্রহ করে তার হাতে রাখো। রাসুলুল্লাহ (সা:) প্রস্থান করলে লোকটিকে বলা হলো, তোমার আংটি তুলে নাও, এর দ্বারা উপকার লাভ করো। সে বলল, না। আল্লাহর শপথ! আমি কখনো ওটা নেব না। রাসুলুল্লাহ (সা:) তো ওটা ফেলে দিয়েছেন।’ (সহিহ মুসলিম: ৫৩৬৫)