১২৮ টাকার ব্যাগের জন্য নেওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা ! ১২৮ টাকার ব্যাগের জন্য নেওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা ! - ajkerparibartan.com
১২৮ টাকার ব্যাগের জন্য নেওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা !

3:42 pm , November 12, 2024

মুলাদী প্রতিবেদক ॥ মুলাদীতে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের (ইউআরসি) পরিদর্শক মো. মনির হোসেনের বিরুদ্ধ প্রশিক্ষনার্থীদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে প্রশিক্ষনার্থীরা রিসোর্স সেন্টারের কক্ষ থেকে বেরিয়ে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে বিক্ষোভ করেন। প্রশিক্ষনার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন। উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক ও প্রশিক্ষনার্থী জানান, গত মঙ্গলবার ২৮তম ব্যাচের প্রশিক্ষণের শেষ দিনে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর ঘোষণা দেন প্রশিক্ষনার্থীদের ভাতা থেকে প্রতিদিনের নাস্তার জন্য ৮০টাকা হিসেবে ৪৮০ টাকা কেটে রাখা হবে এবং প্রতি প্রশিক্ষনার্থীকে ২০০টাকা করে যাতায়াত ভাতা দেওয়া হবে। ওই সময় প্রশিক্ষনার্থীরা ২০-২৫ টাকার নাস্তার জন্য ৮০টাকা কেটে রাখার প্রতিবাদ জানান এবং তাদের জন্য বরাদ্দকৃত যাতায়াত ভাতা ২৫০টাকা দাবি করেন। এনিয়ে ইন্সট্রাক্টরের সঙ্গে ৫-৬ জন প্রশিক্ষনার্থীর কথার কাটাকাটি হলে প্রশিক্ষণ কক্ষে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। পরে সব প্রশিক্ষনার্থীরা বাইরে বেরিয়ে কর্মকর্তার অনিয়ম ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে বিক্ষোভ করেন এবং বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। পরে ইন্সট্রাক্টর মনির হোসেন তাদেরকে সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা প্রদানের আশ্বাস দিলে আবার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রশিক্ষনার্থী জানান, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ওই রিসোর্স সেন্টারে প্রায় ৯০০জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এসব প্রশিক্ষনার্থীদের একই ব্যাগ দেওয়া হয়েছে। ওই কর্মকর্তা ১২৮টাকা দিয়ে ব্যাগ কিনে প্রশিক্ষনার্থীদের থেকে ৫০০টাকা কেটে রেখে ৩৭২টাকা আত্মসাত করেন। শুধু ব্যাগ কেনার ভাউচার থেকেই ওই কর্মকর্তা ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৮শ টাকা আত্মসাত করেছেন। এছাড়া উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মো. মনির হোসেন প্রতি ব্যাচের প্রশিক্ষনার্থীদের নামে বরাদ্দকৃত টাকা থেকে অতিরিক্ত টাকা রেখে দেন।
এব্যাপারে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মো. মনির হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সরকারি বরাদ্দ প্রত্যেক প্রশিক্ষনার্থীকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। কারও টাকা আত্মসাত করা হয়নি। ভুল বোঝাবুঝি থেকে কয়েকজন প্রশিক্ষনার্থী হট্টগোল করেছেন। পরে তাদের বুঝিয়ে শান্ত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে হট্টগোল এবং কর্মকর্তার অনিয়মের বিষয়টি প্রশিক্ষনার্থীরা অবহিত করেছেন। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ পাঠানো হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT