নগরীর রূপাতলী এলাকায় ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ নগরীর রূপাতলী এলাকায় ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ - ajkerparibartan.com
নগরীর রূপাতলী এলাকায় ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

4:03 pm , November 11, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীর রূপাতলী এলাকায় কারাগারে থাকা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসানের দখলকৃত জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। একই সাথে সড়কের দুই কিলোমিটার এলাকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগ আইনশৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় রূপাতলী গোলচত্বর থেকে সাগরদী ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের অবৈধভাবে নির্মিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ শুরু করে। সেখানে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের দেয়াল ঘেঁষে জিয়াউল আহসানের অবৈধভাবে গড়ে ওঠা প্রায় ৩০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বুলড্রেজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়। দিনভর এ উচ্ছেদ অভিযান নগরের রূপাতলী থেকে দপদপিয়া ও কালিজিরা পর্যন্ত চলে। তবে কালিজরা বাজারের ব্যবসায়ীদের স্থাপনা সরাতে এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কের রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে দপদপিয়া পর্যন্ত সড়কের দুপাশে সড়ক ও জনপদের জমি লিজ নিলেও ক্ষমতার দাপটে বেশ কয়েক বছর ধরে তা নবায়ন করনি ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি অনেকে অবৈধভাবে দখল করে সেখানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিল। আর ওই জমি উদ্ধারের জন্য এ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম। তবে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গায় গড়ে ওঠা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর স্বত্বাধিকারীদের মধ্যে অনেকেই বৈধ কাগজপত্র থাকার কথা জানিয়েছেন। বিশেষ নগরের রূপাতলী এলাকায় সমাজসেবা কার্যালয়ের সামনে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের জমি দখল করে গড়ে ওঠা মার্কেটের দোকান মালিকরা জানিয়েছেন, তারা বিগত সরকারের সময় আওয়ামী লীগ নেতার কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়ে দোকানগুলো নিয়েছেন। সেই সরকারের সময় সড়ক ও জনপদের উচ্ছেদ অভিযান হলেও এগুলো ভাঙা হয়নি। কিন্তু এবারে এগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করে উচ্ছেদ করা হয়েছে। তাই জীবিকার একমাত্র ভরসাস্থল হারিয়ে দিশেহারা ব্যবসায়ীরা। এখন তারা ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন। যদিও নগরবাসী বলছে, বরিশাল-কুয়াকাটা এবং বরিশাল-ঝালকাঠি ও পিরোজপুর যাতায়াতের একমাত্র পথ রূপাতলী। এ এলাকার মহাসড়ক সরু থাকায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হয় যানজটের। আওয়ামী লীগের আমলে বেশ কয়েকবার মহাসড়কটি দুই থেকে চার লেনে উন্নীত করতে একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। তবে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদের মাধ্যমে এবার রাস্তা প্রশস্ত হবে বলে আশা তাদের। উচ্ছেদ অভিযানের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, নগরের রূপাতলী জিরো পয়েন্ট থেকে সাগরদী পুল পর্যন্ত সড়কের দুপাশে অবৈধভাবে বিভিন্ন দোকানপাট ও স্থাপনা গড়ে তোলা হয়। এগুলো উচ্ছেদের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও মাইকিং করা হয়েছে। অনেকে তাদের স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছে। আমরা আজ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছি। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানে বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট সহযোগিতা করে। এ সময় বুলডোজার দিয়ে পাকা স্থাপনাসহ ছোট-বড় দুই শতাধিক দোকানঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT