বেড়া দিয়ে বড় ও মেঝ বোনের পরিবারকে অবরুদ্ধ করলো ছোট বোনের পরিবার ! বেড়া দিয়ে বড় ও মেঝ বোনের পরিবারকে অবরুদ্ধ করলো ছোট বোনের পরিবার ! - ajkerparibartan.com
বেড়া দিয়ে বড় ও মেঝ বোনের পরিবারকে অবরুদ্ধ করলো ছোট বোনের পরিবার !

3:58 pm , November 10, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাংলাবাজারস্থ বড় বাড়ী এলাকায় কাটাতারের বেড়া দিয়ে বড় ও মেঝ বোনের পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে ছোট বোন এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় বড় বোন ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর প্রকাশ্যে হামলা চলায় ছোট বোনের স্বামী। এ সময় সেখানে থাকা সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলা হয়। এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় অভিযোগ এমনকি একাধিকবার সালিশ মিমাংসা হলেও কোন ধরণের প্রতিকার মেলেনি। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর তাদের রেখে যাওয়া বাড়িতে বসবাস করেন ৩ বোন। এদের মধ্যে বড় বোন গুলশান আরা বেগম মারা গেছেন। বড় বোনের দুই ছেলে শফিউল আহসান, সাইফ আহসান এবং  মেঝ বোন ইসমত  আরা ও ছোট বোন আঞ্জুমান আরা বেগম পৈত্রিক জমিতে বসবাস করে আসছেন। ছোট বোন আঞ্জুমান আরা বেগম দুমকী সৃজনী বিদ্যা নিকেতনের সহকারি শিক্ষক এবং ইসমত আরা গৃহিণী।। বাড়িসহ সেখানে মোট জমির রয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ। ওই জমি তাদের মা রওশন আরা বেগমের নামে ছিল। ইতিপূর্বে যা সমানভাগে তিন বোনকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে স্বামী সন্তান নিয়ে ৩ বোনই বসবাস করছেন। বছর দেড়েক আগে বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে শুরু হয় বিপত্তি। কোন ধরনের ভাগ বাটোয়া ছাড়া ছোট বোন আঞ্জুমান আরা বেগম ও তার স্বামী বশির উদ্দীন মিলে বড় বোন গুলশান আরা ও মেঝ বোন ইসমত আরা বেগমের জমি দখলে নেওয়া শুরু করে। এক পর্যায়ে তাদের চলাচলের পথও কাটাতারের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়। এর প্রতিবাদ করতে গত ৩১ অক্টোবর ছোট বোন জামাতার হামলার শিকার হয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় ওইদিনই কোতয়ালী থানায় লিখিত অভিযোগ করলে এসআই মাইনুল ইসলাম সরেজমিন পরিদর্শন করেন। তিনি  স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠক শেষে ১০দিনের মধ্যে মাপঝোপ করে উভয় পক্ষকে সমাধান করার সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু ছোট বোন ও জামাতা তা না মেনে নিজেদের মত জমি দখলে রেখেছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছোট বোন জামাতা বশির উদ্দিন বলেন, আমি কারো জমি দখল করিনি। আমার স্ত্রীর ভাগে যতটুকু পাবে সেটুকোই  দখলে আছি। উল্টো তারা আমাদের জমি দখল করে আছে। চলাচলের পথ আটকে রাখা ও হামলা চালানোর বিষয়টি শিকার করে তিনি বলেন, হামলা করেছি রাগের মাথায়। তবে যে পথ আমি আটকে রেখেছি তা আমার ভাগের জমি।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী কোতয়ালী থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মাইনুল ইসলাম বলেন, আমি উভয় পরিবারকে ১০দিন সময় দিয়েছিলাম নিজেদের মধ্যে সমঝোতার জন্য। কিন্তু এরপর তারা আমাকে কিছু জানায়নি।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT