4:08 pm , November 7, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র, প্যানেল মেয়র, বিসিসির কর্মকর্তাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গতকাল বরিশালের মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা করেন নগর ভবনের পানি শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রেজাউল কবির।
মহানগর বিচারিক হাকিম আল-ফয়সাল মামলায় আনা অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য কোতয়ালী মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার উদ্দেশ্যে মারধর করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ সাবেক সিটি মেয়র ও বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক। এছাড়াও অন্যান্য আসামীরা হলেন : সাবেক প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন, বর্তমানে রংপুর সিপি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির, পরিসংখ্যানবিদ স্বপন কুমার দাস, সিভিল শাখার সহকারী প্রকৌশলী মাকসুমুল হাকিম রেজা, ভেটেরিনারী সার্জন মো. রবিউল ইসলাম, পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা দিপক লাল মৃধা, শফিকুল ইসলাম আনজুম, কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, আবুল কালাম রানা, রেজাউল করিম, জহিরুল ইসলাম, ইমরান হোসের রনি, ইয়ামীন চৌধুরী, খন্দকার পলাশ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান, রইজ আহম্মেদ মান্না, আতিকুল্লাহ মুনিম, ওবায়েদ হক সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত ও রাজীব হোসেন খান। মামলায় অজ্ঞাত আরো ২৫ জন কে আসামী করা হয়েছে।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক মাসব্যাপি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়। ২৬ ডিসেম্বর ছিলো কার্যক্রমের উদ্বোধন। এ উপলক্ষ্যে র্যালি নিয়ে সদর রোডে আসলে সেখানে তৎকালীন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর শরীরে ড্রেনের ময়লা পানি ছিটকে এসে পড়ে। এতে সাদিক আবদুল্লাহ ক্ষুব্ধ হয়ে তার নাকের উপর সজোরে ঘুষি দেয়। এতে বাদী রেজাউল কবির রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে অন্যান্য আসামীরা এসে হত্যার উদ্দেশ্যে লাথি দেয়াসহ এলোপাথাড়িভাবে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে রাস্তার উপর ফেলে রেখে চলে যায়।