3:46 pm , November 6, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল বিভাগীয় ট্যাংক লড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস ভাংচুরের মামলা দায়েরের ঘটনায় দেওয়ায় বাদীকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৬ আগস্টের পর থেকে অফিস ভাংচুরের মামলার আসামীরা এই চেষ্টা করে আসছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিভাগীয় ট্যাংক লড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক মো. ফয়সাল হাওলাদার। সবশেষ ৫ নভেম্বর এক যুবককে ধরে নিয়ে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করে ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ট্যাংক লড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক মো. ফয়সাল হাওলাদার।
ফয়সাল হাওলাদার জানান, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ৬ আগস্ট বিএনপির কর্মী সেজে বরিশাল বিভাগীয় ট্যাংক লড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস ভাংচুর করে আওয়ামীলীগের সমর্থক মো. টিটু মিয়া, মো. রাজু, মো. শামিম ফরাজী সহ সন্ত্রাসীরা। সেই আমি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করি। এর পর থেকেই শুরু হয় নানা ধরনের ষড়যন্ত্র।
দুইমাস ধরে মামলার বাদী ফয়সাল সহ তার পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে হয়রানী করে আসছে আসামীরা। পূর্বে তারা আওয়ামীলীগের সক্রিয় কর্মী-সমর্থক হলেও বর্তমানে বিএনপির কর্মী হয়ে এসকল অপকর্ম চালাচ্ছে। ফয়সাল বলেন, আসামীরা এলাকায় মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করে। বিভিন্ন সময় তার বাসার সামনে এসে মাদক বেচাকেনা করে। এতে বাধা প্রদান করায় কিছুদিন পূর্বে আমার বাবাকে মারধর করে মো. টিটু মিয়া, মো. রাজু, মো. শামিম ফরাজী সহ সন্ত্রাসীরা। ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় এক যুবককে দিয়ে মাদক কিনে আনে। এর পর নিজেরাই ওই যুবককে একটি ঘরে নিয়ে আটক করে মারধর করে জোরপূর্বক স্বিকার করায় যে ‘কিনে আনা মাদক ফয়সালের এক আত্মীয়। এছাড়া ফয়সাল নিজেও মাদক বিক্রির সাথে জড়িত এমন স্বীকারোক্তি নিতে ওই যুবককে চাপ প্রয়োগ করা হয়। এরপর নির্যাতনের ভিডিও ধারন করে আসামীদের একজন মো. শামিম ফরাজী আগুন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে। এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরেও বিভিন্ন সময় প্রাননাশের হুমকি দেয়া অব্যাহত রেখেছে আসামীরা।