3:36 pm , November 5, 2024
মুলাদী প্রতিবেদক ॥ মুলাদীতে বিদ্যালয়ে না গিয়েও সরকারি বেতন-ভাতা নিচ্ছেন এক অফিস সহকারী। উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের জাগরনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী রওশন আরা চাকরিতে যোগদানের পর থেকে বিদ্যালয়ে যাননি বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রধান শিক্ষকের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী হওয়ার কারণে তিনি নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলে নিচ্ছেন। এঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।
অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম সরদার। তার দাবি, রওশন আরার পরিবর্তে আরও ভাল একজনকে দিয়ে অফিসের কাজ করাচ্ছেন তিনি। অভিভাবকরা জানান, প্রায় তিন বছর আগে রওশন আরাকে জাগরনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। রওশন আরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম সরদারের আপন ছোটভাই জহিরুল হক সরদারের স্ত্রী। ওই নিয়োগের সময়ও প্রধান শিক্ষক অনিয়ম করেছিলেন বলেও অভিযোগ ছিলো। নিয়োগের পর থেকে রওশন আরা বিদ্যালয়ে যাননি। তিনি বিদ্যালয়ে না গেলেও প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় নিয়মিত সরকারি বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম সরদার বলেন, অফিস সহকারী নিয়োগে কোনো অনিয়ম হয়নি। রওশন আরার পারিবারিক সমস্যা থাকায় বরিশালে অবস্থান করায় বিদ্যালয়ে আসতে পারেন না। তার স্থলে তাসলিমা নামের একজনকে বেতন দিয়ে অফিসিয়াল কাজ ও ৬ষ্ঠ খেকে ৮ম শ্রেণিতে পাঠদান করানো হচ্ছে। তাসলিমার কার্যক্রম ও পাঠদান রওশন আরার চেয়ে অনেকটা ভাল।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ে চাকরি না করে সরকারি বেতন-ভাতা নেওয়ার বৈধতা নেই। এছাড়া একজনের নামে বেতন নিয়ে আরেকজনকে দিয়ে কাজ করানোও অবৈধ। অভিভাবকদের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হয়ে বেতন নেওয়া অনৈতিক ও অনাকাঙ্খিত। ঘটনার সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।