2:22 pm , November 1, 2024
বিদ্যুতের খাম্বায় আগুন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীর সদররোডে শুক্রবার ভোরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। শটসার্কিটের মাধ্যমে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। অগ্নিকান্ডের কারণে গতকাল সারাদিন সদররোড এলাকা বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেটবিহীন ছিলো। পাঁচঘণ্টা পর বিদ্যুৎ এলেও থেমে থেমে চলছিলো লোডশেডিং। ফলে নগরীর সদররোড ও এর আশপাশের এলাকায় সব ধরণের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। জানাগেছে, শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে নগরীর বিবির পুকুরপাড়ের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে শটসার্কিটের কারণে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। খুটিতে জড়ানো ইন্টারনেটের তারের ভারে একটি বৈদ্যুতিক খাম্বা ভেঙ্গে পড়ে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ২০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও বিকেল পর্যন্ত ইন্টারনেটসেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। সকালে সড়কে জনসমাগম না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিদ্যুৎ না থাকায় সদর রোড, গীর্জামহল্লা, কাটপট্টি, বগুড়া রোডসহ আশপাশের একাধিক এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন। এসব এলাকায় প্রায় পাঁচ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক এবং ৩২টি কোম্পানির আওতায় প্রায় ১০ হাজার ইন্টারনেট গ্রাহক রয়েছে বলে জানা গেছে। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, পার্শ্ববর্তী একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে দুর্ঘটনাকবলিত খুঁটির বৈদ্যুতিক ও ইন্টারনেটের তারে আগুন জ্বলে উঠে। এ সময় কয়েকবার বিকট শব্দ হলে জনসাধারণ আতংকিত হয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। নগরীর প্যারারা রোডের ব্যবসায়ী মারুফ জানান, লোডশেডিংয়ের ফলে দোকানের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছি না। এতে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। নগরীর এক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বলেন, উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। দ্রুত ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক করার দাবি জানান তিনি। বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা রেজাউল বলেন, সকাল ৬টা ৮ মিনিটে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৫-২০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানান তিনি। বরিশাল ওজোপাডিকো বিদ্যুৎ ও বিতরণ বিভাগ-১ এর প্রকৌশলী মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ইন্টারনেটের তারে প্রথমে আগুন লেগে যায়। সেই আগুনে বিদ্যুৎ বিভাগের বিপুল পরিমাণ তার পুড়ে যাওয়ায় সদররোডসহ কয়েকটি এলাকায় পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। এখন বিকল্প সংযোগের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইন্টারনেট সেবাদানকারী এক প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার বলেন, ইন্টারসেবা স্বাভাবিক করতে কাজ চলছে। পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে কত সময় লাগতে পারে তা বলা যাচ্ছে না। এছাড়া অগ্নিকা-ে ইন্টারনেটের তার পুড়ে বিশাল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।