3:54 pm , October 23, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ প্রবাসী স্বামীর সকল অর্থ আত্মসাতের পর এখন নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে স্ত্রী। দেবরদের ফাঁদে ফেলতে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি এবং মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছেন তিনি।
বুধবার বেলা ১১টায় বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মৃত ভাই কালাম হোসেন পিন্টুর স্ত্রী কাকলী বেগমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন বরিশালের মুলাদী উপজেলার দড়িরচর লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ হাওলাদারের ছেলে মো. ইমাম হোসেন। লিখিত বক্তব্যে ইমাম হোসেন বলেন, ‘আমার মেঝ ভাই কামাল হোসেনকে জমি বন্ধক, গাছ ও গরু বিক্রি করে ২০১৫ সালে মালয়েশিয়া পাঠাই। প্রবাসে গিয়ে উপার্জনের সকল টাকা স্ত্রী কাকলী বেগমের কাছে পাঠান কামাল হোসেন। সেই টাকা আমাদের সংসারে খরচ করেননি কাকলী। বরং আমাদের ছেড়ে বাবার বাড়ি ও বরিশাল শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন।
ইমাম বলেন, ‘আমার ভাই কামাল হোসেন অসুস্থতার কারণে ৩ বছর পর দেশে ফিরে তার স্ত্রীকে সংসারে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এমনকি আমার বাবা তাকে আনতে গেলে সে বাবাকে বলেন, ‘আপনার ছেলেকে অন্যত্র বিয়ে দিন’। পরে আমার ভাই জানতে পারেন তার স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত। এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায় স্ত্রী-সন্তান ও টাকার চিন্তায় ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট কামাল হোসেন স্ট্রোক করে মারা যান।
ইমাম হোসেন আরও বলেন, ‘আমার ভাই মারা যাওয়ার পর ২০২২ সালে বাবা তার সম্পত্তি আমাদের ৫ ভাই ও এক বোনকে দানপত্র দলিল করে দেন। বিষয়টি জানতে পেরে কাকলী বেগম আমাদের সাথে যাদের বিরোধ রয়েছে তাদেরকে নিয়ে আমাদের মারধর ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আমরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেই।
এতে আরও ক্ষিপ্ত হন কাকলী। ২০২২ সালের ২৩ জানুয়ারি আমাদের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বিচারাধীন থাকাবস্থায় কাকলী বেগম আমাদের ২ লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে নিয়ে যায়। আমরা নিষেধ করলে সে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল আরেকটি মামলা দেয়। এ নিয়ে একাধিক সালিশ-মিমাংসা হলেও তা মানছে না কাকলী। বরং আমাদের বিরুদ্ধে আবারও সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ দেন তিনি।
‘সম্প্রতি কাকলী তার স্বার্থ হাসিলের জন্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছ থেকে প্রভাবিত হয়ে বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির ১ নম্বর সদস্য আব্দুস সত্তার খান ও তার শ্যালক রুহুল আমিন খানসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনদের হেয় প্রতিপন্ন করছেন। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছেন।
ইমাম দাবি করেন, জীবদ্দশায় অসুস্থ স্বামীকে অস্বীকার করলেও মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি ভোগ দখলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে কাকলী। স্বামীর কোনো সম্পত্তি না থাকলেও জোরপূর্বক আমাদের সম্পত্তি বাগিয়ে নিতে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা, থানা-পুলিশ, সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ দিয়েও ক্ষান্ত হননি। বরং এখন নতুন মিশনে নেমেছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় দলীয় লোকজন দিয়ে আমাদের নানাভাবে হয়রানি করেছে। এখন আমাদে আত্মীয়দের জড়িয়ে অপবাদ ছড়িয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টায় লিপ্ত।
বিষয়টি নিয়ে আমরা যখন আদালতের মাধ্যমে ফয়সালার দিকে যাচ্ছিলাম, ঠিক তখনই মুলাদী উপজেলা বিএনপির কতিপয় নেতাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কাকলী বেগম এখন আমাদের আত্মীয় উত্তর জেলা বিএনপির ১ নম্বর সদস্য আব্দুস সত্তার খান ও তার শ্যালক রুহুল আমিন খানসহ অন্যান্যদের জড়িয়ে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে।