4:20 pm , October 19, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর হিন্দুদের হুমকি সহ হামলা ও মন্দির দখল করার চেষ্টা করা হয়েছে। দখল করা হয়েছে পুজা উদযাপন কমিটিও । মন্দিরের নামে পুজার অনুদানের অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সব অভিযোগ পাওয়া গেছে স্ব-ঘোষিত পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিএনপি নেতা পরিচয় দেয়া দুলু রায়ের বিরুদ্ধে ।
জানা গেছে, উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করেনি জেলা কমিটি। একক ক্ষমতাবলে সভা না করেই কমিটি গঠন করেন।
বরিশালের গৌরনদী উপজেলা বিএনপি নেতা পরিচয়ে দুলু রায় ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে নিজ এলাকায় ফিরে আসেন । এলাকায় এসেই তার রাম রাজত্ব কায়েম করার মিশনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন
টরকী বন্দরে হিন্দু ব্যবসায়ীদের গালাগাল ও হুমকি-ধামকি দেন। বলেন ‘আমি স্বপন ভাইর লোক (সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন)। দুলু রায়ের মেঝ ভাই (বিএনপির আরেক নেতা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবাহান সমর্থিত) বিশ্ব রায় টরকীর কাসা পিতল ব্যবসায়ী। তাদের দুই ভাইয়ের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা।
গৌরনদী উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটি বিলুপ্ত না করে বা বরিশাল জেলা কমিটি থেকে অনুমতি না নিয়ে কিছু হিন্দুদের নিয়ে পুজা উদাপন কমিটি গঠন করেন। এবং এবারের দুর্গা পুজায় ৮৫ টি পুজা মন্ডপের অনুকুলে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ নেন। এরমধ্যে আধুনার রানু ভট্টাচার্য্য মন্দির মেদাকুল ভাগ্য ভূইয়ার বাড়ির মন্দিরের নামেও ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ নিয়ে তা নিজেই আত্মসাত করেন।
বার্থী তারা মায়ের মন্দিরের ট্রাস্টিবোর্ডের কার্যকরি সভাপতি সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শান্তনু ঘোষ জানান, দুলু রায় রাজনীতি করে, সেটা তার বিষয় কিন্তু দেবালয় দখল করার কি রাজনীতি দেবালয় তো কোনো দলের বা গোষ্ঠির বা কোনো ব্যক্তির নয় !
২০০৪ সালে বার্থী তারা মায়ের মন্দির কমিটির সভাপতি পদ বাগিয়ে নিয়ে অর্থ আত্মসাত করেন। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমানিত হলে মন্দির কমিটি দুলু রায়কে বহিস্কার করে। এরপর থেকে দুলু রায় বার্থী মন্দিরে যাতায়াত বন্ধ করে দেন । অরুন শীল নামে এক লোকের থেকে দোকান ভাড়া দেয়ার নাম করে ১০ হাজার টাকা নেন।
কমিটি গঠনের বিষয়ে গৌরনদী পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কালিয়া দমন গুহ বলেন, আমি বর্তমান সভাপতি আছি। শুনেছি কমিটি করেছে এবং বিভিন্ন মন্দিরের নামে অনুদান নিয়ে আত্মসাতও করেছে ।মন্দিরের নামে অনুদানের চাল আত্মসাতের বিষয়ে গৌরনদীর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন কোন কথা বলতে রাজি হননি। এ বিষয়ে দুলু রায় কোন ধরণের মন্তব্য করতে রাজী হননি। এ ব্যাপারে গৌরনদী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব সৈয়দ সরোয়ার আলম বলেন, দুলু রায় বিএনপির ভাইটাল কোনো পোস্টের নেতা না।