বরিশালের বাজারে এখনো ডিম নিয়ে হিমশিম ॥ ক্রেতাদের ডিম বয়কটের আহবান বরিশালের বাজারে এখনো ডিম নিয়ে হিমশিম ॥ ক্রেতাদের ডিম বয়কটের আহবান - ajkerparibartan.com
বরিশালের বাজারে এখনো ডিম নিয়ে হিমশিম ॥ ক্রেতাদের ডিম বয়কটের আহবান

4:01 pm , October 16, 2024

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ বরিশালের বাংলা বাজারের বাংলা বাজার স্টোরে এই মুহূর্তে একহালি ডিম বিক্রি করছে ৫৪ টাকা দরে। একই ডিম পাশের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার সংলগ্ন সড়কের ভিতরের একটি মুদি দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকায়। আবার আমতলা মোড়ের খান সড়কের গলিতে  এই ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ ও ৫৮ টাকা দরে। সাগরদি বাজারে আবার তুলনামূলক একটু বড় সাইজের ডিম সাজিয়ে রাখা হয়েছে একদরে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা অর্থাৎ ৬০ টাকা হালি। অথচ সরকার নির্ধারিত দরে ডিমের দাম হওয়া উচিত প্রতিটি ১২ টাকা দরে ৪৮ টাকা। গত ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সরকার উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুরগির ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে বুধবার থেকে উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা। খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে হিসেবে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ডজন কিনতে খরচ হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা। এটা উর্ধ্বে ৪৫/৪৮ টাকা হলেও ক্রেতার কাছে সহনীয়। কিন্তু বর্তমান বাজার দর অব্যাহত থাকলে বরিশালসহ বাংলাদেশের সর্বত্র একসপ্তাহের জন্য ডিম বয়কটের আহবান জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা। এদিকে ডিমের নির্ধারিত দাম বাস্তবায়ন করতে বাজারে নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও অভিযান পরিচালনা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ কারণে বরিশালের পোর্ট রোড আড়তের ব্যবসায়ীরা ডিম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে ডিমের দাম এখনো কমছে না বলে দাবী বাংলা বাজার এলাকার ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ী ধলু মিয়া জানান, তিনি দুদিন আগে কাশিপুরের খামার থেকে সরাসরি ডিম কিনে এনেছেন ৫২ টাকা দরে। পরিবহন খরচ ও অপচয় বাদ দিয়ে ৫৪ টাকা দরে বিক্রি করছেন। সাগরদি বাজারের ব্যবসায়ী হিম্মত আলী বলেন, সরকারতো গতকাল রাতে ঘোষণা দিছে। এই ঘোষণা যত আগে বরিশালে এসে পৌঁছেছে, তত আগেতো ভারত থেকে আমদানি করা ডিম এখনো বরিশালে আসেনি। আমরাতো আগে যে দরে কিনেছি তার থেকে এক টাকা বেশি দরে বিক্রি করছি। এদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, ভোক্তা অধিকারের অভিযানে ডিমের দামতো কমেনি, বরং কিছু কিছু পাইকারি বাজারে ডিম বিক্রি বন্ধ অথবা কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ফলে খুচরা বাজারে দাম আরো বেড়েছে বলে জানান একাধিক ক্রেতা। বরিশালের কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফার্মের মুরগির লাল ও সাদা ডিম ডজনপ্রতি ১৬৮/১৭০-১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পাড়ামহল্লায় ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর বরিশালের  পরিচালক অপূর্ব অধিকারী বলেন, আমরা অভিযান চালিয়ে দেখেছি বেশিরভাগ ব্যবসায়ীর কাছেই যৌক্তিক রশিদ রয়েছে। সরকার ডিম আমদানি করেছেন। সেটা বরিশাল পর্যন্ত আসতে দুটো দিন সময়তো লাগবেই। আশাকরি দুদিনের মধ্যেই ডিমের বাজার সরকার নির্ধারিত দরে ফিরে আসবে। এদিকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্র জনতা আগামী এক সপ্তাহ ডিম বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতাদের প্রতি। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এ নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। আর সচেতন নাগরিক মাহবুব খান, কবি জিল্লুর, নিজামুদ্দিন সহ কয়েকজন বলেন, শুধু ডিম নয়, যে পণ্যের দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাবে আসুন সেই পণ্যটি এক সপ্তাহের জন্য বয়কট করি। এরফলে বাজার সিন্ডিকেট নিজে থেকেই ধ্বংস হবে। কারণ ডিমেরও মেয়াদোত্তীর্ণ সময় রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের পর ডিমের ভিতরের কুসুমে রক্তকনা জমে। আর কাঁচা মরিচ পিঁয়াজতো রীতিমতো পচনশীল।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT