4:09 pm , October 2, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দুবাই প্রবাসীর অর্থ ও জমিসহ মুল্যবান মালামাল নিয়ে পরকিয়া প্রেমিক সাথে পালিয়ে যাওয়া স্ত্রীসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় পুলিশের পক্ষপাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনৈতিক সুবিধা নিয়ে মামলার আসামী পরকিয়া প্রেমিকসহ তিনজনকে চার্জশীট থেকে নাম বাদ দিয়েছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার সাবেক এসআই আব্দুল মান্নান। দুবাই প্রবাসী সদর উপজেলার চরকাউয়া এলাকার বাসিন্দা মৃত জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে জায়েদ হোসেন।
আসামীরা হলেন-একই এলাকার বাসিন্দা স্ত্রীর পরকিয়া প্রেমিক নুরুল ইসলাম, মো. ফারুক হাওলাদার, রিপন হাওলাদার ও স্ত্রী সুলতানা বেগম।
তাদের বিরুদ্ধে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেন দুবাই প্রবাসী জায়েদ। বিচারক মামলা এজাহার হিসেবে রুজু করে চার্জশীট জমা দেয়ার জন্য বন্দর থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়। ওসি মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয় থানার এসআই আব্দুল মান্নানকে। তিনি গত ২২ আগষ্ট শুধুমাত্র স্ত্রী সুলতানাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট জমা দেয়। চার্জশীট আদালতে জমা দেয়ার পূর্বে বাদীকে জানানোর নিয়মও মানেননি তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল মান্নান। দেশের অরাজক সময়ে গোপনে আদালতে চার্জশীট জমা দিয়েছেন।
ওই চার্জশীট গ্রহন না করার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে বলে জানিয়ে জায়েদের পরিবার অভিযোগ করেন, জায়েদ ১৭ বছর ধরে দুবাই থাকতো। সেখানে কাজ করে আয় করা অর্থ দিয়ে জমি কেনাসহ বাড়ি নির্মান করেন। এছাড়াও নগদ অর্থ স্ত্রী সুলতানার কাছে জমা রাখেন। কিন্তু তার স্ত্রী সুলতানা পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। জায়েদ দেশে ফেরার পর তাকে ছেলে ও ছেলের স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে দেয়। এছাড়াও গত ২৮ জুন জায়েদকে এআরখান স্কুলের সামনে পেয়ে চারজন বেধরকভাবে মারধর করে। এ ঘটনায় মামলা করেন তিনি।
জায়েদের পরিবার অভিযোগ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল মান্নান আসামীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তিনজনকে চার্জশীট থেকে বাদ দিয়েছেন। চার্জশীট থেকে নাম বাদ যাওয়ার পর আসামীরা বাদী জায়েদকে নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে। এতে ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রবাসী জায়েদ।