4:02 pm , October 2, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক সাইফুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে একটি পরিবারকে উচ্ছেদ ও জমি দখলের অভিযোগে মানববন্ধন হয়েছে। বুধবার অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করে ভুক্তভোগী পরিবারটি। এসময় ভুক্তভোগী সবুজ খানের স্ত্রী অভিযোগ করে জানান, সদর উপজেলার কর্ণকাঠী ইউনিয়নের মো. আশরাফ আলী খান ও পেয়ারা বেগম পুত্র মো. সবুজ খানের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর পারিবারিক নানা প্রতিবন্ধকতায় তাদের জীবন যেমন তেমন করে কাটছিলো। স্বামী সবুজ খান ছোট থাকতেই শাশুরী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভুগছিল। আমার স্বামী ছোট বেলা থেকেই কঠোর পরিশ্রম করে তার অসুস্থ্য মায়ের সেবা করে আসছে। শ্বশুরের নামে যে জমি ছিল তা তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রীর কথায় বিক্রি করে দেয়। এর পর ২০১৬ সালে আমার অসুস্থ্য শাশুরীর নামে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরিশাল সদর বরাবরে খাস সম্পত্তি বন্দোবস্ত পাওয়ার আবেদন করা হয়। তাতে কোন সাড়া না পাওয়ায় পরবর্তীতে বন্দর থানাধীন কর্ণকাঠী মৌজার ৫৭ নং জে.এল এস.এ ৬০৩ নং দাগের বরিশাল ভার্সিটির পিছনে সরকারি খালি সম্পত্তিতে আমার স্বামী এবং আমি একটি ঘর তুলে বৃদ্ধা অসুস্থ্য শাশুরী ও সন্তানদের নিয়া বসবাস শরু করি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম কর্ণকাঠী মৌজার ৫৭ নং জে.এল এস.এ ৬০৩ নং দাগের বরিশাল ভার্সিটির পিছনে সরকারি খালি সম্পত্তিতে আমাদের বসতী ঘর খানার সম্পত্তি এবং নদী বক্সার সহ মোট ১৯০ শতাংশ সম্পত্তি নিজের বলে দাবি করা শুরু করেন।সাইফুল ইসলাম আমাদেরকে উচ্ছেদ করার জন্য নানা ধরণের ষড়যন্ত্র করে। ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর বরিশাল ভার্সিটির ফাঁড়ির কর্তব্যরত এসআই দ্বারা আমাকে সহ আমার স্বামীকে ভার্সিটির ফাঁড়িতে ডেকে নিয়ে আমার স্বামীর একটি সাদা কাগজে জোর পূর্বক স্বাক্ষর নেয় ও মোবাইল নম্বর লিখে রাখে। সর্বশেষ এবছরের ২৯ জানুয়ারী উক্ত তফসিল ভূক্ত সম্পত্তি থেকে বসত ঘর ভেঙ্গে আমাদের উচ্ছেদ করে। এখন আমরা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছি। তাই মানবন্ধনের মাধ্যমে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজকে আমাদের পাশে দাড়ানোর জন্য জোড়ালো ভাবে আহবান জানাচ্ছি।