4:21 pm , September 30, 2024
রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, কাউখালী প্রতিবেদক ॥ কাউখালীতে নিষিদ্ধ জালের ব্যবহারে ঝুঁকিতে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন প্রকারের মাছ। উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদী ও খাল বিলে অবাধে বিভিন্ন প্রকারের নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে রেনু পোনা শিকারের কারণে মাছ বৃদ্ধি পাচ্ছে না। এক শ্রেণীর অবৈধ জেলেরা কারেন্ট জাল, চরগড়া, বাঁধা জাল, চায়না দুয়ারী সহ বিভিন্ন প্রকার জাল ব্যবহার করছে। এর ফলে বিলুপ্ত হওয়ায় ঝুঁকিতে থাকা দেশীয় প্রজাতির মাছের বংশ বিস্তারে সংকট দেখা দিয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সয়না, রঘুনাথপুর, মেগপাল, গন্তব্য, সোনাকুর, রোঙ্গাকাঠি, আমড়াজুড়ি আশুয়া, বেকুটিয়া, চিরাপাড়া, পাঙ্গাসিয়া, জোলাগাতি এলাকার বিভিন্ন নদ-নদী ও খালে বিলে অবৈধ জাল দিয়ে ছোট ছোট মাছ শিকার করা হচ্ছে। ফলে মাছের বংশবৃদ্ধি পাচ্ছে না। উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাটবাজারে এসব অবৈধ জাল প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। এসব অবৈধ জাল নিষিদ্ধ হলেও প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় অনেকটা প্রকাশ্যে বিক্রি হয়।
সংবাদকর্মী রফিকুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন প্রকারের অবৈধ জাল মারাত্মক ধ্বংসাত্মক। এসব জালে মাছের সাথে রেনু পোনা সহ বিভিন্ন প্রজাতির জলজপ্রাণীও মারা যায়। এতে দিন দিন দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আমড়াজুড়ি গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান বলেন, এক সময় বাজারে প্রচুর দেশীয় মাছ পাওয়া যেত। এখন আর আগের মত বাজারে দেশীয় মাছ দেখা যাচ্ছে না। দক্ষিণ বাজারের মাছ ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলী জানান, বিভিন্ন নিষিদ্ধ জাল, মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ও সার ব্যবহারের কারণে নদী-নালা, খালবিলে দেশীয় মাছ মরে যাচ্ছে।
সংবাদকর্মী মাসুম বিল্লাহ বলেন, হাটে বাজারে নিষিদ্ধ এ জাল বিক্রি করা হলেও প্রশাসনের তেমন তৎপরতা নেই । এমনিতেই দেশী মাছ বিলুপ্তির পথে, তার উপর অবৈধ জাল দিয়ে মাছের রেনুপোনা সহ বিভিন্ন জলজপ্রাণীও ধ্বংস করা হচ্ছে। এতে মাছের যে কয়েকটি প্রজাতি টিকে রয়েছে তা অচিরেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, সকল প্রকার নিষিদ্ধ জালের ব্যবহার বন্ধে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে এবং মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে এসব জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে।