3:37 pm , September 29, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ইন্টার্ন ও মিড লেভেলের চিকিৎসক এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম। একই সাথে সেনাবাহিনী থেকে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল পদ মর্যাদার একজন পরিচালক দিতে সরকারের নিকট দাবি তোলা হয়। গতকাল রোবার বেলা ১১টা থেকে পরিচালকের কক্ষের সামনে তার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা। তাদের শান্ত করতে পরিচালকের কক্ষে বৈঠকে বসেন বিভাগীয় কমিশনার শওকত আলীসহ সেনাবাহিনী ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে ব্যর্থ হয়ে তারা পরিচালকের কক্ষ ত্যাগ করেন। এরপর পরিচালক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন। এ সময় শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. ফয়জুল বাশার উপস্থিত ছিলেন। পরিচালকের পদত্যাগের পর বিক্ষোভকারী ইন্টার্ন ও মিড লেভেলের চিকিৎসকরা বলেন, গেল চার বছর দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতি ছাড়া কোন উন্নয়ন করতে পারেননি পদত্যাগকারী পরিচালক। এ কারনে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার কোন উন্নয়ন হয়নি। হয়েছে পরিচালক ও তার দোসরদের পকেট ভারী। হাসপাতালের উন্নয়নে সেনাবাহিনী থেকে একজন পরিচালকের দাবি জানান তারা। যখন পরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলছিল একই সময় চিকিৎসা না পেয়ে রোগীর স্বজনরা সেখানে এসে বিক্ষোভ করেন। চিকিৎসা না দিলে তারাও আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষনা দেন। এ কারনে বিক্ষোভকারীরা দ্রুত চিকিৎসা সেবায় ফিরে যান। এতে করে কর্মবিরতির একদিন পর চিকিৎসা সেবা স্বাভাবিক হয়। ইর্ন্টান চিকিৎসকরা দুপুর ১টায় তাদের ৪ দফা দাবী পূরনের জন্য আগামী ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মবিরতী স্থগিতের ঘোষনা দেন।
গ ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে শিশু বিভাগে একজন রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নারী চিকিৎসক ও নার্সকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন রোগীর স্বজনরা। এ ঘটনার বিচার দাবিতে গত শনিবার চারদফা দাবি পরিচালকের নিকট তুলে ধরেন বিক্ষুব্ধরা। ২৪ ঘন্টার মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন দৃশ্যমানের কথা থাকলেও কোন ধরনের পদক্ষেপ নেননি পরিচালক। এছাড়া দায়িত্ব পালনকালে গত চারবছর ব্যাপক দুর্নীতিতে নিমজ্জিত থাকা এবং ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শান্তি সমাবেশ করেন বলে অভিযোগ তুলে পদত্যাগের দাবি করা হয়। অপরদিকে নারী চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনায় ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে একমাত্র হামলাকারী সাথী বেগমকে আসামী করে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, আসামীকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।