3:46 pm , September 27, 2024
গৌরনদী প্রতিবেদক ॥ গৌরনদী উপজেলার পিংলাকাঠি গ্রামে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক বিএনপি নেতার নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে একই পরিবারের চারজনকে আহত করা হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পিংলাকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মাশহুরা বেগম বলেন, আমার একমাত্র ছেলে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী ও র্যাবে চাকরি করতো। সম্প্রতি অবসরে আসেন এবং পরিবার নিয়ে বাড়িতে থাকেন। গত ৫ আগষ্টের পর থেকে গৌরনদী উপজেলা বিএনপির নেতা আবু বকর গাজী (৬০) আমার ছেলে শাহরিয়ার মারুফ চৌধুরীকে বলে, ‘তোরা আওয়ামী লীগ করছো তাই বাজারে আসবি না’। বিষয়টি আমি স্থানীয় বিএনপি নেতাদের অবহিত করেছি। শাহরিয়ার মারুফ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি নেতা বকর গাজী আমাকে বলে ‘বাড়িতে থাকতে হলে চাঁদা দিতে হবে। আমি চাঁদা না দেওয়ায় আমাকে মারধরের হুমকি দেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমার চাচা নিরু চৌধুরীর সঙ্গে আমার ছেলের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় বকর গাজী ৩০/৩৫ জন লোক নিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমাকে এবং আমার স্ত্রী খাদিজা আহম্মেদ সুইটি(৩০), বড় ছেলে আদী চৌধুরী (১৪) ও ছোট ছেলে মাহির চৌধুরীকে (১২) পিটিয়ে জখম করে। তারা আমার স্ত্রীর গলার একটি চেইন ছিনিয়ে নেয়। আহত দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে আবু বকর বলেন, চাচা-ভাতিজা দুই পরিবার মারামারি করেছে। সেখানে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।