3:39 pm , September 26, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের অধিকার আদায়ের জন্য গত ৫ আগস্ট জীবনবাজি রেখে হাজারো মায়ের বুক খালি করে আমরা দেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা দ্বিতীয় বারের মতো দেশ স্বাধীন করেছি। এ দেশ আমার, এ দেশ আপনার। দলমত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে দেশ সবার। মুসলিমদের পাশাপাশি সকল ধর্মের মানুষ এখানে নিরাপদ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সংখ্যালঘুদের নিয়ে যারা রাজনীতি বঙ্গে তারাই হিন্দুদের মন্দিরে আক্রমণ চালায়। ৫ আগস্ট যে বৈষম্য ও জুলুমের বিরুদ্ধে বিজয় এনেছি পরবর্তী সময় এসে আমরা দেখলাম সেই আগের সমেট দখলদারি, চাঁদাবাজি, ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছে একটি গোষ্ঠী। এসব বন্ধ করতে হবে। সবাই মিলে একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ভাগ্যাহত জনতার ভাগ্যেরকোনো পরিবর্তন হবে না। স্বাধীনতা অর্থবহ হবে না। রাষ্ট্র সংস্কার করে গ্রহণযোগ্য নর্বাচন সময়ের দাবি। কিন্তু ঘুরেফিরে দুর্নীতিবাজদের ক্ষমতায় আনলে জনগণের দুঃখ-দুর্দশার অন্ত থাকবে না। মুফতি ফয়জুল করীম আরো বলেন, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। পি.আর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং ভারতে পানি আগ্রাসন বন্ধের ব্যপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অবৈধ নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
ভিনি আরো বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্ব ছাড়া ইনসাফপূর্ণ সমাজ গঠন সম্ভব হবে না। ইসলামপন্থিগণ এক হলে ইসলামই হবে দেশের একমাত্র নিয়ামক শক্তি। জালিমদের হাত থেকে আলেমদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা সময়ে অনিবার্য দাবি। মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, মুহাম্মদ (সা.) রাষ্ট্র নায়ক ছিলেন। যার নিজের ইনসাফ নেই, যে দুর্নীতিবাজ, চোর-ডাকাত, লুটেরা, ধর্ষক, জালিম সেই ব্যক্তি কীভাবে ইনসাফভিত্তিক সমাজ উপহার দেবে? কাজেই জালিম ও চোর-ডাকাতদের হাত থেকে ইসলামপন্থিদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার আাধ্যমে দেশে ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি এম এম সালাউদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এ আর ইব্রাহীম ফয়সাল এর সঞ্চালনায় আয়োজিত বরিশাল নগরীর টাউন হলে সংগঠনের ৩৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শায়খে চরমোনাই এসব কথা বলেন।
সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসাইন নূর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক মাওলানা এ.বি.এম জাকারিয়া, বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নুরুল ইসলাম আল-জামিন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নির্মাণ শ্রমিক বিষয়ক সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর সভাপতি প্রফেসর মুহাম্মাদ লোকমান হাকীম, ইসলানী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জেলা সহ-সভাপতি শেখ সামছুল আলম মিলন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর সেক্রেটারী মাওলানা মুহাম্মাদ আবুল খায়ের আশরাফী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী মাওলানা মুহাম্মাদ কাওছারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ হাফিজুর রহমান, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতী গাজী মুহাম্মাদ ওসমান গনী, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জেলা সভাপতি মাওলানা নাছির উদ্দিন (রোকন) ডাকুয়া, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ সানাউল্লাহ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ বরিশাল জেলার সাবেক সভাপতি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহ, সাবেক সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইব্রাহিম হোসাইন মৃধা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক বর্তমান দায়িত্বশীলবৃন্দ।