4:09 pm , September 23, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবেদীনকে আদালত প্রাঙ্গণে লাঞ্ছিত ও মারধর করার ঘটনা ঘটেছে।আর এসময় সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের সাথে থাকা নগদ টাকাও নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কাউন্সিলরের দাবি পুরো ঘটনাই বিএনপির লোকজন ঘটিয়েছে, তবে মহানগর বিএনপির নেতৃত্ব পর্যায়ের কেউ এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। সোমবার দুপুরে বরিশাল নগরীর জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, বরিশাল ৫ আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল অব. জাহিদ ফারুক শামিমকে রোববার ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গ্রেফতার হওয়া পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিমকে সোমবার বরিশাল আদালতে সোপর্দ করার খবরে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন তার অনুসারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তখন কাউন্সিলর জয়নাল আবেদিন ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতা শাহরিয়ার সাচিব রাজিবকে লাঞ্ছিত করার পাশাপাশি মারধর করা হয়।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর জয়নাল আবেদিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছি। সেই মামলার কাগজ আদালতে জমা হয়েছে কিনা সেটি জানতে আমার উকিলের কাছে যেতেই আদালতে যাই। কিন্তু আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশের পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা বিএনপির লোক জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু মারধরই করেনি, আমার সাথে থাকা শ্রমিকদের নগদ ৭২ হাজার টাকা ও মানিব্যাগসহ আরও কিছু টাকা নিয়ে গেছে। আদালতে মানুষ যায় ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তার জন্য জানিয়ে তিনি বলেন, আমার ওপর হামলার পর শুনেছি ২১ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতা শাহরিয়ার সাচিব রাজিবের ওপরও নাকি হামলা হয়েছে। তবে সে আমার সাথে যায়নি, আমি আমার কাজে গিয়েছিলাম, সে কেন গিয়েছে তা সে ভাল জানে। এদিকে কাউন্সিলর জয়নাল আবেদিনের উপর হামলার ঘটনার আগে ২১ নং আওয়ামী নেতা শাহরিয়ার সাচিব রাজিবকে আদালত প্রাঙ্গনে ব্যাপক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে রাজিব মাটিতে পড়ে গেলে লাথি, কিল, ঘুষি দিয়ে তাকে আহত করা হয়। পরে উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় পালিয়ে রক্ষা পায় রাজিব।