4:07 pm , September 22, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর ৬ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও তার বড় ভাইকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। চাঁদা না পেয়ে যুবদলের দুই কর্মী কুপিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগিরা। শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ঘটনায় আহত ৬ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক প্রিন্স মাহমুদ সোহেল ও তার ভাই শিকদার মাহমুদ সোহাগ। তারা বর্তমানে শের-ই-বাংলা মেডিকেলে মুমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসারত রয়েছে। অভিযুক্তরা হল, নগরীর শিশুপার্ক কলোনী এলাকার বাসিন্দা মো. বেল্লালের ছেলে হৃদয় (২৫) এবং মো. খোকনের ছেলে শাওন (২৫)। তারা উভয়ই যুবদলের কর্মী বলে জানিয়েছে আহত প্রিন্স মাহমুদ সোহেল।
ঘটনার বিবরনে প্রিন্স মাহমুদ সোহেল জানান, গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকে হৃদয় ও শাওন বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে এসে তার ভাই শিকদার মাহমুদ সোহাগের কাছ থেকে ১/২ হাজার করে টাকা নেয়া শুরু করে। দীর্ঘদিন বিরোধী দলের কর্মী হওয়ায় তারা আর্থিক ভাবে অসচ্ছল এবং আওয়ামীলীগের সমর্থক হওয়ায় এখন তাদের (প্রিন্স মাহমুদ সোহেল ও তার ভাই শিকদার মাহমুদ সোহাগ) কে টাকা পয়সা দিতে হবে এমনটা দাবি করে অভিযুক্তরা। তাদের দাবিতে বিভিন্ন সময় টাকাও দেয় বড় ভাই সোহাগ। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার দিনে গগন গলির পূর্ব মাথায় এ করিম আইডিয়াল কলেজ এলাকায় ভাই শিকদার মাহমুদ সোহাগের ভাঙ্গারির দোকান শিকদার স্টোর্সে আসে হৃদয় ও শাওন। তারা এসে সোহাগের কাছে ১৭ তারিখ বিএনপির প্রোগ্রাম করতে টাকা খরচ হয়েছে যে টাকা এখন তাদের দিতে হবে বলে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এই টাকা না দিলে এলাকায় ব্যাবসা করতে দেবে না বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। পূনরায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে এসে তারা প্রিন্স মাহমুদ সোহেলের ছোট ভাই সোহানের কাছে টাকার দাবিতে ঝামেলা শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রিন্স মাহমুদ সোহেলের ঘারে ধারালো চাকু ঢুকিয়ে দেয় হৃদয়। তার সাথে থাকা শাওন সহ আরও ৫/৬ জন এলাপাতাড়ি ভাবে কোপানো শুরু করে। বড় ভাই সোহাগ রক্ষা করতে ছুটে এলে তাকেও কোপায় হৃদয় ও শাওনের নেতৃত্বে থাকা সন্ত্রসীরা। এক পর্যায়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে গেলে আতংকে এলাকার কেউ উদ্ধারে এগিয়ে না এলে তাদের মা দুই সন্তানকে নিজেই মেডিকেলে নিয়ে আসে।
প্রিন্স মাহমুদ সোহেল বলেন, ঘটনাটি কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তিনি নিজে বাদি হয়ে এই ঘটনায় মামলা দায়ের করবেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনা শুনেছেন তবে এখনও ভুক্তভোগিদের কাছ থেকে লিখিত কোন অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।