3:55 pm , September 17, 2024
ঝালকাঠি প্রতিবেদক ॥ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়রানিমূলক মামলা থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঝালকাঠি পৌরসভার সবেক কাউন্সিলর মোসাম্মৎ সিমা। সিমা ঝাকাঠি নেছারাবাদ এলাকার দেলোয়ার হোসেনের কন্যা ও ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের স্ত্রী। ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে সিমা বলেন, আমি একজন গৃহিনী। দীর্ঘদিন ধরে আমি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নাই। আমি ২০১৬ সালে ঝালকাঠি পৌরসভার সংরক্ষিত (৪,৬,ও ৭ নং ওয়ার্ড) নারী কাউন্সিলর হিসাবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হই। ২০২১ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তৎকালীন আওয়ামী লীগের কতিপয় ক্যাডার বাহিনী নির্বাচনের দিন কেন্দ্র দখল করে আমার ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হামলা করে জোরপূর্বক পেশীশক্তি প্রয়োগ করে আমাকে পরাজিত করে। এহেন কার্যকলাপের কারণে আমি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ি এবং ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিজ্ঞা করি আর কোন দিন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো না। তারপর আমি পরিবার ও স্বামী সন্তান নিয়ে নিরিবিলি জীবনযাপন করতে থাকি। ২০২২ সালে আমার কণ্যা সন্তানের বিবাহ সম্পাদন করি এবং নিজের বাড়ি নির্মাণের কাজে ব্যস্ত থাকি। ২০২১ সালে নির্বাচনে পরাজয়ের পর অদ্যবধি আমি রাজনৈতিক মিটিং-মিছিলসহ কোন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিনি। কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় গত ১৫ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠি আমতলা রোডস্থ কুদ্দুস হাওলাদার লেলিনের স্ত্রী শারমীন লেলিন মুক্তা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি রাজনৈতিক মামলা দায়ের করেন। মামলাটিতে প্রতিহিংসা বশবর্তী হয়ে একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অসত্য তথ্য দিয়ে হয়রানি করার জন্য আমাকে ৭৩ নম্বর আসামী করা হয়েছে। মামলার বাদী শারমীন লেলিন মুক্তা আমাকে চেনে না এবং আমিও তাকে চিনি না। তার সাথে আমার কোন পূর্ব পরিচয় বা শত্রুতা নাই। আমি এ ধরনের মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তিনি আরও বলেন, ছাত্র জনতার সফল আন্দোলনে দেশের জনগনের বাক-স্বাধীনতা ও স্বাধীন জীবনযাপনের একটি পরিবেশ তৈরি হওয়ার সময় এ ধরনের মিথ্যা তথ্য দিয়ে হয়রানীমূলক মামলা দায়ের করা ছাত্র জনতার আশা আকাঙ্খা ভুলন্ঠিত এবং শহীদদের আত্মত্যাগের মর্যাদা ক্ষুন্ন হতে পারে। সত্য সমাগত ও মিথ্যা অপসারিত আজ বা কাল প্রতীয়মান হবেই হবে।