3:37 pm , September 15, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দুর্বল ও শক্তিহীন করতে পিলখানা ট্র্যাজেডি। যার দোষ চাপিয় দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) বিদ্রোহের কারণ উল্লেখ করে। মূলত এটি সঠিক নয়। ভারতের পক্ষ হয়ে আ.লীগ ফ্যাসিস্ট সরকার দেশের সামরিক শক্তিকে দুর্বল করতে পরিকল্পিতভাবে পিলখানা ট্র্যাজেডি সংঘটিত করেছিল। সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন চাকুরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। রোববার বেলা ১২টায় বরিশাল প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চাকুরিচ্যুত বিডিআর হাবিলদার মোঃ শহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হতাকান্ডের ঘটনায় চাকুরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা আ.লীগ ফ্যাসিস্ট সরকার সেনাবাহিনীর শক্তি ক্ষুন্ন করতে বাংলাদেশ রাইফেলস কে ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রপূর্বক পিলখানা হত্যাকান্ড সংঘঠিত করেছে। উক্ত হত্যাকান্ডে ৫৭ জন মেধাবী সেনা কর্মকর্তা সহ ৭৪ জন শাহাদাৎ বরণ করেন। এ ঘটনায় পরবর্তীতে ফ্যাসিস্ট সরকার বিচারের নামে নিরীহ ৫৪ জন বিডিআর সদস্যকে নিরাপত্তা হেফাজতে হত্যা করে এবং ১৮ হাজার ৫২০ জন বিডিআর সদস্যকে চাকুরিচ্যুতসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে। এ সময় তারা ৯ দফা দাবী তুলে ধরেন। দাবীগুলো হলো : বিডিআর পিলখানা সংঘঠিত সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ডকে তথা কথিত বিদ্রোহ সংজ্ঞায়িত না করে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড হিসাবে আখ্যায়িত করতে হবে। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে গঠিত সকল প্রহসনের বিশেষ আদালতকে নির্বাহী আদেশে বাতিল করতে হবে। চাকুরিচ্যুত সকল পদবীর বিডিআর সদস্যকে সুযোগ সুবিধা সহ চাকুরিতে পুর্নবহাল করতে হবে। হত্যাকান্ড মামলার মহামান্য হাইকোর্টের বিচারকদের রায়ের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী পিলখানার হত্যাকান্ডের ঘটনার মোটিভ উদ্ধার ও কুশিলবদের সনাক্তকল্পে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। পিলখানা হত্যাকান্ডে শাহাদাৎ বরণকারী ৫৭ মেধাবী সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে শহীদের মর্যাদা দিতে হবে।
২৫ ফেব্রুয়ারী দিনটিকে পিলখানার ট্রাজেডি দিবস হিসাবে ঘোষণা করতে হবে। পিলখানা হত্যাকান্ডের ঘটনা পরবর্তী তদন্ত/জিজ্ঞাসাবাদে নিরাপত্তা হেফাজতে যে সকল নিরীহ বিডিআর সদস্যদের নির্যাতন পূর্বক হত্যা করা হয়েছে তাদের তালিকা প্রকাশ ও মৃত সকল পদবীর পরিবারকে ক্ষতিপূরন সহ পুনর্বাসন করতে হবে। তদন্ত/জিজ্ঞাসাবাদে নিযুক্ত হত্যাকান্ডে জড়িত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সনাক্ত পূর্বক বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ আদালত কর্তৃক বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষকারী বিডিআর সদস্যরা যারা প্রহসনের বিষ্ফোরক মামলায় দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে কারান্তরীণ আছেন তাদেরকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জামিন অথবা মামলা হতে অব্যাহতি পূর্বক মুক্ত করতে হবে।