3:36 pm , September 15, 2024
বাকেরগঞ্জ প্রতিবেদক ॥ বাকেরগঞ্জে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মহাসড়কের পাশে ব্রিজের সরকারি সম্পত্তি দখল করে প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা। স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীরা একের পর এক স্থাপনাগুলো নির্মাণ করে বিক্রি করেছিল চড়াদামে। কিন্তু এখন সেই আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতাও নেই, নেতাদের সহযোগীরাও লাপাত্তা। তবে রয়ে গেছে সেই অবৈধ স্থাপনা।
বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজের নতুন একাডেমিক ভবন এবং কলেজের সৌন্দর্য্য বাহ্যিক দিক থেকে উপভোগ করার মত পরিবেশ নেই। কারণ কলেজের সামনে চা,পান, সহ সিগারেটের দোকানগুলো যেমন সৌন্দর্য নষ্ট করছে, তেমনি ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। সরকারি কলেজ সংলগ্ন মহাসড়ক দখল করে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা নির্মানে চরম ঝুঁকি ও ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে পথচারী, কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষের। প্রশাসনের নাকের ডগায় বছরের পর বছর ধরে এসব অবৈধ স্থাপনা হলেও অজানা কারণে নিরব ভূমিকায় কর্তৃপক্ষ।বিভিন্ন স্তরের অবৈধ স্থাপনা নির্মান করে হুমকির মুখে ফেলছে ব্রিজের ঢাল।
ইতিপূর্বে কলেজ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও উচ্ছেদ অভিযানে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বরিশাল-পটুয়াখালি মহাসড়কের বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের ব্রিজের ঢালের বাঁধের উপর দেখা গেছে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা নির্মাণের চিত্র। সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রিজের দক্ষিণ পাশে সরকারি সম্পত্তি দখল করে একাধিক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে। এতে ব্রিজের উঁচু রাস্তার বাঁধগুলো অচিরেই ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা ব্রিজের ঢালের পাশে সরকারি জায়গায় নিজেদের টাকায় ঘর নির্মাণ করেছিলাম স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাদের সহযোগিতায়। তারা আমাদের কাছ থেকে দোকান প্রতি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়েছে। এবং বিগত সরকারের আমলে স্থানীয় নেতাদের প্রতিদিন ১০০ টাকা করে চাঁদা দিয়েছি। এমনও ঘটনা ঘটেছে প্রতিদিনের টাকা প্রতিদিন না দিলে দোকান অন্যজনকে দিয়ে দেওয়ার মত অবিচার করা হয়েছে। এখন আমরা সরকারি জায়গায় ব্যবসা করছি। সেক্ষেত্রে আমাদের যদি অন্যত্র সরে যেতে বলে তাহলে আমরা অন্য জায়গায় চলে যাবো। কিন্তু যাদেরকে টাকা দিয়ে আমরা এই স্থানে বসেছি সেই টাকাটা তো আমরা ফেরত পেতে পারি।
স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালী মহল এসব স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখলেও রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে এগিয়ে আসেননি। বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সবকিছুই দেখেও আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
ব্রিজের উত্তর পাশে পোল্ট্রি মুরগির দোকান। সেখানে মুরগির বর্জ্যের কারনে পথচারীদের চলাচলে দুর্ভোগের শেষ নেই। বাজারের মধ্যে একটি মাত্র ড্রেন তা এই ময়লা আবর্জনার জন্য আটকা পড়েছে।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ পৌর প্রশাসক উপমা ফারিসা বলেন, অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি। আপনার কাছেই শুনলাম। আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেব।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুর রহমান বলেন, আমরা শীঘ্রই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান করবো।