4:06 pm , September 12, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ উজিরপুরে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন উপজেলা শ্রমিক দল নেতা। বৃহস্পতিবার উজিরপুর মডেল থানায় মামলার অভিযোগ জমা দিয়েছেন বলে ওসি জাফর আহমেদ জানিয়েছে। এর আগে বুধবার দিনগত রাতে উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহবায়ক খোকন ডাকুয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়। মামলার বাদী খোকন ডাকুয়া বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও উজিরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এস সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টু দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর পর সাম্প্রতি নিজ এলাকায় আসেন। তাকে বরন উপলক্ষে পথ ও মতবিনময় সভা হয়। এ সময় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের জুয়েলের নির্দেশে সন্ত্রাসী ৪/৫টি মোটর সাইকেলে বুধবার দিনগত রাতে উপজেলার সোনার বাংলা বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে গুলি করে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে গুলি উদ্ধার করেছে। এ ঘটনার পর এলাকাবাসী ঢাকা-বরিশাল মহসড়ক আধা ঘন্টা অবরোধ করে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর আশ^াসে অবরোধ প্রত্যাহার করেন স্থানীয়রা। উজিরপুর মডেল থানার ওসি জাফর আহমেদ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি গুলি খোসা ও একটি তাজা গুলি উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। মামলা রুজুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি জানান, মামলায় সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ নামধারী ১০ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ২৫ জনকে আসামী করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলো- তানভীর হাওলাদার, রাজীব মজুমদার, মো. মিরাজ হোসেন হাওলাদার, মো. কিবরিয়া হাওলাদার, মো. ফরিদ জমাদ্দার, সোহাগ খান, মো. শামিম, মো. পিয়াস, মো. সুমন। অভিযোগের বিষয়ে সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক। আমি সব সময় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থান নিয়ে রাজনীতি করেছি। যে অভিযোগ দিয়েছেন তিনি অর্বাচীনের মতো কাজ করেছেন। যা আমরা জন্য লজ্জাকর। জুয়েলের ধারনা কোন পক্ষের প্ররোচনায় মামলা করেছে। মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে একটি সাধারন ডায়েরীও নেই।
তাই আমি ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত দোষী ও মদদদাতাদের খুজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হোক। তাকে মামলার আসামী করায় উজিরপুর উপজেলার বিএনপি ও সর্বস্তরের মানুষ প্রতিবাদ মিছিল করেছে।