4:05 pm , September 12, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মাদক বিক্রি ও দখল দারিত্বে বাধা প্রদান করায় নগরীর ১১ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের আহবায়ক এস এম রায়হান আজাদকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়াগেছে। বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে চাঁদমারি খান সন্স অফিসের সামনে তাকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে জানা গেছে। রায়হান আজাদের অভিযোগ বঙ্গবন্ধু কলোনীর ত্রাস আল-আমিন গ্রুপকে এলাকাবাসী উৎখাত করার পর তার মাদকের সম্্রাজ্য বিলুপ্ত না করে তা সচল রাখার চেষ্টা করে একটি পক্ষ। এতে বাধা প্রদান করে সে। এছাড়া চাদমারি খেয়াঘাট ও কার্গোঘাট থেকে চাদা তোলার সিন্ডিকেটের অংশ না হওয়ায় তার ওপরে হামলা চালানো হয়েছে। মহানগর মহিলাদলের এক নেত্রী, ১০ ও ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির একাধিক নেতা তার ওপরে এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে শেবাচিমে চিকিৎসাধীন এস এম রায়হান আজাদ। বুধবার রাতে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আফরোজা খানম নাসরিন শেবাচিমে আহত এস এম রায়হান আজা কে দেখতে যান। এসময় তিনি ঘটনায় যে বা যারাই জরিত থাক না কেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা গ্রহনের কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে দোষিদের বিচারের দাবিতে দলীয় কার্যালয় সম্মুখে বৃহস্পতিবার বিকেলে মানববন্ধন করেছে মহানগর ছাত্রদলের ১১ নং ওয়ার্ডের নেতাকর্মিরা।
বিস্তারিত অভিযোগে এসএম রায়হান আজাদ জানান, বুধবার রাতে তিনি ব্যাবসার কাজে চাঁদমারি যান। এসময় ১০ নং ওয়ার্ড শ্রমিকদল নেতা কামরুল ১০/১২ জন সহ এসে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। দেশিয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে যখম করে। এসময় কামরুল তাকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করে। মূলত এলাকায় ৫ তারিখের পর থেকেই মাদকের সিন্ডিকেট এবং স্থানীয় চাদমারি খেয়াঘাট ও কার্গোঘাট দখলে নিয়ে নেয় ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক হুমায়ুন কবির, ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপি যুগ্ম-আহবায়ক সাহাদাত হোসেন তোতা, ১১ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম সায়েম এবং ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য বেল্লাল হোসেন। তাদের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জরিত রয়েছে মহানগর বিএনপির মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদা বেগম এবং পরোক্ষভাবে রয়েছে তার মামা ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নাল আবেদিন বলে জানায় রায়হান আজাদ। এসকল কাজে তাকে সাথে থাকার জন্য বার বার প্রস্তাব দেয়া হয়। কিন্তু এলাকায় মাদক ও চাদাবাজী বন্ধে দলের নির্দেশনায় দৃঢ় থাকে সে। রায়হান আজাদ বলে, আল-আমিন গ্রপকে যে কারনে সাধারন বাসিন্দারা উৎখাত করেছে তা হল মাদক আর চাদাবাজী। তাকে (আল-আমিন) উৎখাতের পরেও যদি এই কাজগুলো অব্যাহত থাকে এবং বিএনপির লোকজন এই কাজগুলোর নেতৃত্ব দেয় তাহলে সেটি দলের জন্য ক্ষতিকর হবে। সেজন্য প্রতিবাদ করেছেন এবং শিকার হয়েছেন হামলার। নিজের দলের দ্বারা এমন হামলার শিকার হওয়ায় দলের সিনিয়র নেতাদের ওপর আস্থা রেখে সঠিক বিচারের দাবি জনিয়েছেন।
এ বিষয়ে বরিশাল মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আফরোজা খানম নাসরিন জানান, তিনি হামলার খবর শুনেছেন। মেডিকেলেও গিয়েছিলেন। উভয় পক্ষের অভিযোগ শুনে তা সঠিকভাবে তদন্ত করে যে বা যারা দোষি প্রমানিত হবে তাদের বিরুদ্ধে বরিশাল মহানগর বিএনপি কঠোর সাংগঠনিক ব্যাবস্থা গ্রহন করবে। এ বিষয়ে কোন ছাড় দেয়া হবেনা।