3:52 pm , September 11, 2024
মুলাদী প্রতিবেদক ॥ বরিশালের মুলাদীতে বিয়ের সনদ দিতে এক নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী সাড়ে ৬ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কাজী পারভেজ সিকদারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি এক প্রবাসীকে বিয়ের সনদ দেওয়ার সময় টাকা নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিয়ে সনদে কোনো টাকা নেওয়ার নিয়ম না থাকলেও ওই কাজী ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ৬ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নেন বলে জানান স্থানীয়রা। নাজিরপুর ইউনিয়নের কাজী পারভেজ সিকদার টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে ভবিষ্যতে বিয়ের সনদ দিতে কোনো টাকা নেবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
নাজিরপুর ইউনিয়নের আলমাছ উদ্দীন বলেন, স্ত্রীকে নিয়ে বিদেশ যাওয়ার জন্য ইংরেজি অনুদিত একটি বিয়ের সনদের প্রয়োজন হয়। বিষয়টি ইউনিয়ন রেজিস্ট্রার ও কাজীকে জানালে তিনি ‘পরিচিত ও ভালো সম্পর্কের খাতিরে’ সাড়ে ৬ হাজার টাকা দাবি করেন। জরুরি প্রয়োজন হওয়ায় ওই টাকা দিয়েই সনদ সংগ্রহ করতে হয়েছে।
নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোতালেব হাওলাদার জানান, বিবাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী ইউনিয়নে বিয়ে নিবন্ধনে প্রতি লাখে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা আদায় করে থাকেন। কারও সনদপত্রের প্রয়োজন হলে ৬ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কিংবা কারও কথার তোয়াক্কা করেননা ওই কাজী।
মুলাদী উপজেলার এক নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী জানান, বিয়ে সম্পন্নের সময় সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রার সরকার নির্ধারিত ফি আদায় করবেন এবং তাকে একটি নিকাহনামা (কাবিননামা) প্রদান করবেন। এছাড়া ওই ব্যক্তির বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে সনদপত্র কিংবা ইংরেজি সনদের প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা ফি আদায় করা যাবে।
এব্যাপারে নাজিরপুর ইউনিয়ন বিয়ে রেজিস্ট্রার ও কাজী মো. পারভেজ সিকদার সনদের জন্য এক প্রবাসীর কাছ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ইংরেজি সনদ দিতে বরিশাল থেকে অনুমতি ও স্বাক্ষর আনতে কিছু বাড়তি টাকা খরচ হয়। তবে পরবর্তীতে কারও কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হবে না।
জানতে চাইলে বরিশাল জেলা রেজিস্ট্রার মো. মোহছেন মিয়া বলেন, অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।