3:51 pm , September 11, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালে গত ১৬ বছরে লাইসেন্স পাওয়া অস্ত্রের মধ্যে ৫টি এখনো জমা পড়েনি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম বলেন, বেসামরিক জনগণকে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বরিশাল মহানগরসহ জেলায় ১৯৭ টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে লাইসেন্স গুলো স্থগিত করা হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অস্ত্র জমা দেয়ার দিন ছিলো। এর মধ্যে এখনও মহানগর এলাকার ৮টি অস্ত্র জমা পড়েনি। এ বিষয়ে জানানো হয়েছে পুলিশকে। অস্ত্র উদ্ধারে চলছে যৌথ বাহিনীর অভিযান। যারা অস্ত্র জমা দেয়নি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মহানগর পুলিশ কমিশনারকে বলা হয়েছে। সহকারী পুলিশ কমিশনার নাফিছুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে আটটি অস্ত্র জমা না পড়ার তথ্য ছিলো। পরে যাচাই-বাছাই করে আরো তিনটি জমা হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এখনো ৫ টি অস্ত্র জমা পড়েনি। এই পাচ অস্ত্রের মালিকদের যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। তারা নিজ উদ্যোগে জমা না দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো জানান, ওই অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানও চলছে। পুলিশের নির্ভরযোগ্য সুত্র অনুযায়ী যে পাঁচটি অস্ত্র জমা পড়েনি তার মধ্যে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর কনিষ্ট ছেলে সেরনিয়াবাত আশিক আব্দুল্লাহ এবং বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান জসিমউদ্দিন উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও অপর তিনজন হলেন নগরীর বাসিন্দা সাব্বির আহম্মেদ, এজাজুল হক ও মনিরুল ইসলাম। জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্য অনুয়ায়ী জমা না দেয়ার তালিকায় সেনাবাহিনীর পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের নাম ছিলো। কিন্তু তার অস্ত্র সেনাবাহিনীতে জমা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ।