সামান্য বৃষ্টি হলেও নগরী তলিয়ে যায় হাটু পানিতে সামান্য বৃষ্টি হলেও নগরী তলিয়ে যায় হাটু পানিতে - ajkerparibartan.com
সামান্য বৃষ্টি হলেও নগরী তলিয়ে যায় হাটু পানিতে

3:56 pm , September 2, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ টানা বর্ষনের প্রয়োজন হয়না, এখন সামান্য বৃষ্টিপাতেই নগরীর বিভিন্ন প্রধান সড়ক ও অলি গলিতে জমে যায় হাটু পানি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় তলিয়ে যাওয়া সড়ক দিয়ে চলাচলকারী বাসিন্দাসহ বিভিন্ন যানবাহন চালকদের। এছাড়া পানিতে তলিয়ে থাকায় নগরীর সড়কগুলো ধিরে ধিরে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পরেছে। গত সপ্তাহের টানা বর্ষনের কারনে তৈরি হওয়া জলাবদ্ধতা কাটতে না কাটতে গতকাল সোমবার মাত্র ১০ মিনিটের ভারী বর্ষনে পূণরায় হাটু জলে তলিয়েছে নগরী।
নগরীর প্রধান সড়ক সদর রোড, ফজলুল হক এভিনিউ, বগুড়া রোড, নবগ্রাম রোড, বাংলাদেশ ব্যাংক গলি, আগরপুর রোড, মহিলা কলেজের পিছনের গেট, কালিবাড়ি রোড, করিম কুটির, আমির কুটিরসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন সড়ক পানি বন্দী হয়ে পড়ে।
নগরীর ফকির বাড়ি এলাকার বাসিন্দা সোয়েব জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই ফকির বাড়ি রোড় এলাকার প্রত্যেকটি শাখা সড়ক পানিতে ডুবে যায়। এর কারন অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন ও বাসা বাড়ী তৈরি করা। তাই সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তা ডুবে যায়। নোংরা আবর্জনা পরিপূর্ন পানি দিয়ে চলাচল করতে হয় এই এলাকার হাজারো বাসিন্দাদের।
নগরীর সদর রোডের বায়তুল মোকারম মসজিদে যোহরের নামাজ পড়তে আসেন প্রবীন বাসিন্দা মো. ফিরোজ হাওলাদার। নামাজে প্রবেশের সময় পানি না থাকলেও বৃষ্টির কারনে নামাজ শেষে বের হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েন তিনি। তিনি বলেন, একটু ভারী বৃষ্টি হলেই জুতা হাতে নিয়ে চলাচল করতে হয়।
আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক প্রনব কুমার রায় বলেন, নগরীতে সকাল ৭ টা থেকে পৌনে ৯ টা পর্যন্ত ও দুপুরে বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে সকালে ১৬ মিলি মিটার ও দুপুরে ৭ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর  মধ্যে দুপুরের একটু ভারী বৃষ্টি হয়েছে। ভাদ্র মাসে যে কোন সময় এ রকম ভারী বৃষ্টিপাত হবে এটাই স্বাভাবিক।  নগরবাসীর অভিযোগ নিয়মিত ড্রেন পরিস্কার না করা ও খাল নষ্ট করার ফলে সামান্য বৃষ্টিতে সড়ক এবং নি¤œাঞ্চল পানিতে ডুবে যায়।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে শতাধিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী শুধু ড্রেন পরিস্কার করছে। নগরীর প্রধান প্রধান সড়কের পাশের সকল ড্রেনের ময়লা আর্বজনা পরিস্কার করা হয়েছে। সমস্যা হচ্ছে আমাদের সকল ড্রেনের পানি খাল ও নদীর সাথে সংযোগ করা। তাই নদীর পানি বেশি থাকলে নগরীতে জলাদ্ধতা তৈরি হয়।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT