3:47 pm , August 31, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্র্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ৬ ইন্টার্ন চিকিৎসকের ইন্টার্নশীপ দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালের ৪ স্বাচিপ নেতাকে অন্যত্র বদলির জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে দুই শিক্ষকের বদলির চিঠি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। শনিবার বিকেলে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম ও অধ্যক্ষ ডা. ফয়জুল বাশার এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত কলেজ ও হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ১২ চিকিৎসককে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, ৬ জন ইন্টার্ন চিকিৎসকের দুই বছরের জন্য ইন্টার্নশীপ স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালের ৪ চিকিৎসককে বদলির জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।
যাদের ইন্টার্নশীপ বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন : মহসীন বিভা, আরিফুজ্জামান ইমন, সাদমান বাকির সাবাব, প্রীতম দেবনাথ, অর্ঘ্য বিশ্বাস ও আসিফুল ইসলাম।
বদলির জন্য সুপারিশকৃত চিকিৎসক হলেন : সিনিয়র কনসালটেন্ট ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের বরিশাল জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক সুদীপ কুমার হালদার, আবাসিক সার্জন স্বাচিপের জেলার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাসরেফুল ইসলাম সৈকত, মেডিকেল অফিসার শিরিন সাবিহা তন্নী ও ইন্টারনাল মেডিকেল অফিসার (মেডিসিন ইউনিট -৪) এএসএম সায়েম। বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ফয়জুল বাশার জানান, স্বাচিপের জেলার সভাপতি জিএম নাজিমুল হক ও সহকারী অধ্যাপক সৌরভ সুতারের বদলির দাবিতে শিক্ষার্থীরা একটি আবেদন করেছে। ওই আবেদনের কপি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে বর্তমানে না থাকায় সাবেক পরিচালক বাকির হোসেন ও সাবেক অধ্যক্ষ এসএম সরোয়ারের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
মেডিকেল কলেজের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী তাসকিন আহমেদ জানান, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ গালি এবং নানাভাবে নির্যাতন করে কলজের শিক্ষক ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তাদের বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এলাকায় অবাঞ্চিত ঘোষনা করে বিক্ষোভ করা হয়েছে। সমাবেশে শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বক্তব্য রাখেন।
পরে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পৃথকভাবে হাসপাতাল পরিচালক ও মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।