3:42 pm , August 22, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পূর্নিমার প্রভাব কেটে যাওয়ায় বরিশাল বিভাগের সাত নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই নি¤œাঞ্চল প্লাবিত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানান, পূর্নিমার প্রভাব কেটে গেছে। তাই বরিশালের নদ-নদীর পানি বুধবারের চেয়ে কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো বিদসীমার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নি¤œাঞ্চলের ফসলের ক্ষেতসহ বিভিন্ন বাড়ীতেও পানি রয়েছে।
সদর উপজেলার উত্তর লামছরি গ্রামের বাসিন্দা মো. মুনিম জানান, তার গ্রামের এক পাশে কীর্তনখোলা ও অপর পাশে আড়িয়াল খা নদী। দুই নদীর পানিতে গ্রামের সিংহভাগ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও কোমড় পর্যন্ত পানি রয়েছে।
বরিশাল বিভাগের ৭ টি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বরিশাল নগরেরসহ নদীর তীরবর্তি নি¤œাঞ্চল তলিয়ে গেছে।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানান, কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপদসীমা ২ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বুধবার হলেও ২ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিলো।
একইভাবে বিষখালীর নদীর ঝালকাঠি পয়েন্টের পানির বিপদসীমা ১ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। কিন্তু প্রবাহিত হচ্ছে ১ দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে। বিষখালী নদীর বেতাগী পয়েন্টে প্রবাহিত হচ্ছে ১ দশমিক ৮২ সেন্টিমিটার উচ্চতায়। এ পয়েন্টের বিপদসীমা ১ দশমিক ৬৮ সেন্টিমিটার।
একই নদীর বরগুনা পয়েন্টের বিপদসীমা ১ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার। প্রবাহিত হচ্ছে ২ দশমিক ০৮ সেন্টিমিটার দিয়ে।
পাথরঘাটা পয়েন্টে বিষখালী নদীর বিপদসীমা ১ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। প্রবাহিত হচ্ছে ১ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার উচ্চতায়।
সুরমা-মেঘনা নদীর দৌলতখান পয়েন্টের বিপদসীমা ২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। প্রবাহিত হচ্ছে ৩ দশমিক ৪৬ সেন্টিমিটার দিয়ে। একই নদীর তজুমদ্দিন পয়েন্টের বিপদসীমা ২ দশমিক ২২ সেন্টিমিটার। প্রবাহিত হচ্ছে ৩ দশমিক ০৯ সেন্টিমিটার।
তেতুলিয়া নদীর ভোলা খেয়াঘাট এলাকার বিপদসীমা ১ দশমিক ৯১ সেন্টিমিটার। প্রবাহিত হচ্ছে ১ দশমিক ৮৮ সেন্টিমিটার দিয়ে।
বুড়িশ্বর নদীর আমতলী পয়েন্টে বিপদসীমা ২ দশমিক ০৭ সেন্টিমিটার। প্রবাহিত হচ্ছে ১ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার দিয়ে। এ নদীর মির্জাগঞ্জ পয়েন্টের বিপদসীমা ১ দশকি ৮০ সেন্টিমিটার। প্রবাহিত হচ্ছে ১ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার উচ্চতায়।
কচা নদীর উমেদপুর পয়েন্টের বিপদসীমা ১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার। প্রবাহিত হচ্ছে ১ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার উচ্চতায়।
বলেশ্বর নদীর পিরোজপুর পয়েন্টের বিপদসীমা ১ দশমিক ৪৯ সেন্টিমিটার। প্রবাহিত হচ্ছে ১ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার উচ্চতায়।