4:19 pm , August 11, 2024
ওয়ারিশ হিসাবে আলোচিত পুকুরে কোন জমি নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ব্রাউন্ড কম্পাউন্ডে একটি পুকুর ভরাট ও দখলের খবরে নগরীজুড়ে চলছে সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনা। পুকুর দখলকারী হিসাবে বরিশাল বিএনপির প্রভাবশালী নেত্রী বিলকিজ জাহান আক্তার শিরিনের নাম আসায় এই আলোচনার পাল্লা আরো টেকসই হয়েছে। দেশের পালা বদলের হাওয়ায় বিএনপির এই নেতা ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়েছেন বলে আজকের পরিবর্তন কে জানিয়েছেন তিনি।
তথ্য সুত্রে জানা গেছে, যে পুকুরটি ভরাট ও দখল নিয়ে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি বিলকিস জাহান শিরিন কে অভিযুক্ত করা হয়েছে সেটি নগরীর ব্রাউন্ড কম্পান্ডে অবস্থিত। এই জমির প্রকৃত মালিক ডাঃ আরশেদ আলী খান। তিনি শিরিনের দাদা। এখানে ডাঃ আরশেদ আলী খানের নামে মোট রেকর্ডীয় সম্পত্তির পরিমান ৫২ শতাংশ। যার মধ্য থেকে ২২ শতাংশে রয়েছে পুকুরটি। অবশ্য এই ২২ শতাংশ এখন নেই। ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া শিরিনের এক ফুফু ২ শতক জমি তার অন্য ফুফুর কাছে বিক্রি করেছে। যা ভরাট করে অনেক আগেই স্থাপনা করা হয়েছে। ফলে পুকুরটি এখন রয়েছে ২০ শতাংশ জমিতে। পুরো জমির খাজনা এখন পর্যন্ত ডাঃ আরশেদ আলী খানের ওয়ারিশরাই পরিশোধ করে আসছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে পুকুরটি দানের জমি অর্থাৎ এলাকাবাসীর সম্পত্তি হলো কিভাবে।
শিরিন বলেন, তার বাপ-চাচা ও ফুফু মিলে ১০ জন এই ৫২ শতক জমির ওয়ারিশ ছিলো। এখন আমরা ভাই-বোন মিলে মোট ওয়ারিশের সংখ্যা ২১ জন। ইতোমধ্যে ওই পুকুরের অংশ থেকে ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া শতক বা তারও কিছু বেশী জমি আমার ফুফু বিক্রি করেছেন। সেখানে ঘরও আছে। আর মোট জমির (৫২ শতাংশ) উপরে দুটি ভবন টিনশেট ঘরসহ একাধিক স্থাপনা রয়েছে। তাহলে এগুলো দানের সম্পত্তি হয় কিভাবে। আমরা এখনো এই জমির খাজনা পরিশোধ করছি। এগুলো তো দিনের আলোর মত সত্যি। সব কিছুরই পেপারস রয়েছে।
আমি ব্যক্তি ও অনেকটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যখনই দেখেছে এখন সংবাদ প্রকাশ করে আমাকে দমন করা সহজ হবে তখই ওই সাংবাদিক প্রকাশ করলো। সাথে তার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য তার লোকজন নামিয়ে দিলো। আমি এই অপ প্রচারের বিচার চাই। শুধু রাজনৈতিকভাবে নয় আমার সামাজিক মর্যাদাও ক্ষুন্ন করা হয়েছে। আমি এর বিচার ও প্রতিকার চাই।
শিরিন আরো বলেন, ওয়ারিশ হিসাবে আমার ওই পুকুরে একটুও জমি নেই। তাহলে কেন আমি পুকুট ভরাট করতে যাব। এটা পাগলেও বোঝে। তাছাড়া ওয়ারিশদের মধ্যে যাদের ওই পুকুরে জমি আছে তা ভরাট করতে চাইলেও আমি বাধা দেই। কারন রাজনৈতিক কারনে বার বার আমার নামটি চলে আসে। তাই আমি তাদেরকেও ভরাট করতে দেই না।