3:42 pm , July 15, 2024
ঢাকা অফিস ॥ শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন বরিশালের সন্তান শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মাহবুব হোসেন। সরকারি কাজের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতেই ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে কর্মসম্পাদন চুক্তির দায়বদ্ধতায় নিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চালু করেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদনা এবং সরকারি কর্মকর্তাদের শুদ্ধাচার পুরস্কার। গেলো অর্থবছরে এই চুক্তিবাস্তবায়নে সবচেয়ে সফল বিদ্যুৎ বিভাগসহ ১১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং ব্যক্তিরপর্যায়ে শুদ্ধাচারে পুরস্কার জয় করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তার হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মো. মাহবুব হোসেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে ২০২৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি যোগদান করেন। এ মন্ত্রণালয়ে যোগদানের পূর্বে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশন এর সচিব ছিলেন। মো. মাহবুব হোসেন বেড়ে উঠেছেন সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। ৬ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে তিনি ৬ষ্ঠ। মো. মাহবুব হোসেনের জন্ম ১৯৬৬ সালের ১ ফেব্রয়ারী বরিশাল জেলার সদর উপজেলার পশ্চিম শোলনা গ্রামে। তার বাবা প্রয়াত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুজিবুল হক সরদার ইপিআর এর চাকুরী ছেড়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝালকাঠির বেস কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। মাহবুব হোসেনের তিন ভাইও বীর মুক্তিযোদ্ধা। মাহবুব হোসেন ১৯৮২ সালে পিলখানার রাইফেলস পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও বরিশালের সরকারি বিএম কলেজ ১৯৮৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষাতে ফার্স্ট ডিভিশন পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৭ সালে উদ্ভিদবিদ্যায় বিএসসি এবং ১৯৮৮ সালে ১ম শ্রেণী লাভ করে এমএসসি ডিগ্রী অর্জন করেন। মো. মাহবুব হোসেন ১১তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ১৯৯৩ সালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মুন্সীগঞ্জে সহকারী কমিশনার হিসেবে সরকারি চাকুরীতে যোগদান করেন। কর্মজীবনে তিনি প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট, থানা নির্বাচন অফিসার, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এর পরে তিনি সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ আশ্রায়ণ ২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও তিনি একাধিক মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। কর্মকালীন কর্মদক্ষতার স্বীকৃতিস্বরুপ তিনি ২০১৬ সনে সোশ্যাল মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড ও ২০১৭ সনে জনপ্রশাসন পদক লাভ করেন।