4:06 pm , July 14, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীর চাঁদমারী খেয়াঘাট লিজ নেয়ার পরও স্থানীয় কাউন্সিলরের নির্দেশে তার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী ঘাট পরিচালনায় বাধাদান এবং চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী ও মাদক বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর নেতৃত্ব রয়েছে মৃত করিম হাওলাদারের ছেলে আল আমিন হাওলাদার। আল আমিনের বিরুদ্ধে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালী থানাসহ বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির ১৫ মামলা রয়েছে। সর্বশেষ গত ১২ জুলাই সন্ত্রাসী আল আমিনের নেতৃত্বে নগরীর চাঁদমারী খেয়াঘাটে নৌযান থেকে চাঁদাবাজিকালে বাধা দেন লিজ গ্রহণকারীর লোক এনায়েত খান। এ সময় এনায়েতসহ তার লোকজনকে বেদম মারধর করে ঘাট থেকে উত্তোলনকৃত ৭০ হাজার টাকা লুট করা হয়। এ ঘটনায় এনায়েত খান ১২ জুলাই বাদী হয়ে নামধারী ১৩ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৫০ জনকে অভিযুক্ত করে কোতোয়ালী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্তরা হচ্ছে : আল আমিন হাওলাদার, পলাশ সিকদার, রুবেল, রাসেল, লিটন সিকদার, রাকিব জমোদ্দার, রুহুল আমিন, বাপ্পি, ইমরান, সোহাগ হাওলাদার, সুমন হাওলাদার, সোহাগ। এরা সকলে নগরীর চাঁদমারী বঙ্গবন্ধু কলোনীর বাসিন্দা। হামলার শিকার এনায়েত খান বলেন, গেল ১ জুলাই চাঁদমারী খেয়াঘাটের লিজ পান খান মোহাম্মদ হাবিবের প্রতিষ্ঠান ত্রিশাল মৎস্য আড়ৎ। এরপর থেকে ওই ঘাট তিনি পরিচালনা করে আসছেন। ১২ জুলাই ঘাটে গিয়ে নৌযান থেকে চাঁদাবাজি শুরু করে আল আমিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এতে বাধা দিলে তার উপর হামলা চালানো হয়। তাকেসহ ঘাটে থাকা সকল লোকদের বেদম মারধর করা হয়। এতেও ক্ষ্যান্ত হয় না। এক পর্যায়ে আল আমিন বড় অংকের চাঁদা দাবি করে। ওই চাঁদা না দেয়ায় বিভিন্ন নৌযান থেকে উত্তোলনকৃত ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এমনকি তাদের কাজে বাধা দিলে হত্যার হুমকি দেয় আল আমিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এলাকাবাসী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চাঁদমারী খেয়াঘাটে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির রামরাজত্ব কায়েম করেছে আল আমিন। তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে প্রতিদিন ঘাট এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছে। এতে করে সেখানকার লোকজনও রয়েছেন আতংকের মধ্যে। বিশেষ করে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত নৌযান মালিকরা আল আমিনের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। আল আমিনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বাধা দিলে তার দলবল নিয়ে হামলা চালায়। তার হামলা ও চাঁদাবাজির হাত থেকে রক্ষায় বিভিন্ন সময় ১৫টি মামলা দায়ের হয়। ওই মামলা দায়ের হওয়ার পর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। আল আমিন ওই এলাকার একজন কাউন্সিলরের নির্দেশেই এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে। কোনভাবেই দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আল আমিনের হাত থেকে রক্ষা মিলছে না সাধারন মানুষের। শুধু চাঁদমারী নয়, বঙ্গবন্ধু কলোনীতে রাজ রাজত্ব কায়েম করেছে আল আমিন। সেখানে মাদক বিক্রির সাথেও জড়িত। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মাদক মামলাও। কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিচুল হক জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।