4:24 pm , July 10, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নলছিটির অনুরাগ বাজার জামে মসজিদের ঈমাম ক্বারী আলী হায়দার এর বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা হয় গত ২২ জুন। এরপর থেকে সাময়িক গাঁ ঢাকা দেয় আলী হায়দার। কিছুদিন পরে কয়েকজন প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় প্রকাশ্যে বেরিয়ে ঘোরাফেরা শুরু করে এবং ভুক্তভোগী ও বাদীকে উল্টো হুমকি ধামকি দিতে থাকে নানা মাধ্যমে।
দিনে দুপুরে নিজ ঘরে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় এতদিনেও সে গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তারা বলছেন, এই লোক ঈমাম নামের কলঙ্ক। তাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার। যাতে ভবিষ্যতে সরল বিশ্বাসে আসা মানুষদের কেউ আর ধোকা দিতে সাহস না পায়। অভিযুক্ত আলী হায়দার পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার বাসিন্দা মমিন উদ্দিন বয়াতির ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ক্বারী আলী হায়দারের বাসায় গিয়ে তার কাছে কোরআন শরীফ পড়তো ভুক্তভোগী মেয়ে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ জুন সকাল সাড়ে ৬টায় তার বাসায় কোরআন শরীফ পড়তে যায়। সকাল বেলা একা পেয়ে কোরআন পড়তে আসা মেয়েকে শ্লীলতাহানী করে ও ধর্ষণচেষ্টা চালায় আলী হায়দার। এক পর্যায়ে ডাকচিৎকার দিলে প্রতিবেশিরা ছুটে আসলে শটকে পড়ে হায়দার। এর পরে মেয়ের ফুপু বাদী হয়ে নলছিটি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে শ্লীলতাহানী ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এরপর কিছুদিন আত্মগোপনে থেকে অবশেষে জামিন না নিয়েই প্রকাশ্যে আসে হায়দার।
অভিযোগ অস্বীকার করে ক্বারী আলী হায়দার বলেন, অভিযোগকারীর ভাতিজিসহ বেশ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী আমার স্ত্রীর কাছে প্রাইভেট পড়তে আসতো। তারা দুষ্টমি করার কারণে আমি তাদের একটু শাসন করি। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে। তাছাড়া কিছু লোক আমাকে মসজিদ থেকে বিতাড়িত করতে এই ষড়যন্ত্র করতেছে।নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ আলী জানান, মামলাটি তদন্তনাধীন আছে। তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।