3:18 pm , July 4, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড় বরিশালের কৃতিসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম সুরুজ তালুকদার গুরুতর অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী আছেন। কিডনী ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বরিশালবাসী সহ সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন সুরুজ তালুকদারের পরিবার। জানা গেছে, আমিনুল ইসলাম সুরুজ দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ ও কিনডিজনিত রোগে ভুগছেন। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না। তার ঘনিষ্টজন বরিশালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ জাকির হোসেন জানান, কিছুদিন আমার পর্যবেক্ষনে ছিলেন আমিনুল ইসলাম। একজন ডক্তিার হিসাবে তার শারীরিককন্ডিশন যে খুব বেশী একটা ভাল তা বলব না। এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি যে চিকিৎসা নিচ্ছেন তা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর চেয়ে উন্নত চিকিৎসার দরকার হলে তাকে দেশের বাইরে যেতে হবে। সপ্তাহে অন্তত ৩ থেকে ৪ বার কিডনী ডায়ালাইসিস করতে হয় তাকে। এছাড়া হার্টেও সমস্যা রয়েছে বলে জানান এ চিকিৎসক। চিকিৎসার ব্যয়  সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে সুরুজের অপর এক ঘনিষ্টজন বলেন, তার চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল। তবে খসরু ভাই কাউকে এ ব্যাপারে কিছু বলেন না। কারো কাছে সাহায্য চান না। সুরুজ কে কাছ থেকে দেখা বরিশালের অন্যতম ক্রীড়া সংগঠক আসাদুজ্জামান খসরু বলেন, তখন ১৯৬৩-৬৪ সাল। সুরুজ ভাইয়ের বয়স ১৫/১৬ হবে। নামলেন বরিশালে প্রথম বিভাগ ফুটবল খেলতে। নেমেই সবাইকে চমকে দিলেন। তখনকার বরিশালের বাঘা বাঘা ফুটবলাররা তাকে সামলাতে হিমশিম খেলেন। সবাইকে  খেলা শেষে বলতে শুনলাম ‘কাকে নামাইলি মাঠে আটকাতেই তো পারছি না’। তিনি বলেন, এই সেই আমাদের সুরুজ ভাই। যিনি ছিলেন আমাদের তখনকার মেসি। ঢাকায় মহামেডান এবং আবাহনীর হয়ে খেলেছেন দীর্ঘ সময়। দেশের বাইরে নেপালেও খেলেছেন তিনি। কিন্তু রাজনৈতিক নোংরামির কারনে জাতীয় দলে সুযোগ পাননি তিনি। শুধু মাঠ কাপানোই নয় একজন দক্ষ সংগঠক ছিলেন সুরুজ। বরিশালের ফুটবল অঙ্গনে রয়েছে তার অশেষ অবদান ও ত্যাগ। বরিশালের তৎকালীন ও বর্তমান অনেক ফুটবলার তার হাতে সৃষ্টি। নগরীর বাংলাবাজার আলেকান্দা এলাকার সম্ভ্রান্ত তালুকদার বংশে ১৯৪৯ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।