4:29 pm , July 1, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীতে মোবাইল ব্যাংকিং নগদের উদ্যোক্তা এজেন্ট ব্যবসায়ীদের একাউন্ট থেকে টাকা হাওয়া হয়েছে। এজেন্ট ছাড়াও নগদের ব্যক্তিগত একাউন্ট থেকেও টাকা চলে গেছে। এ ঘটনায় কয়েকজন এজেন্ট কোতয়ালী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান বলেন, নগরীর পোর্ট রোড মৎস্য বাজারের বিপরীতে তার মাইশা ট্রেডার্স নামে মোবাইল ব্যাংকিং ও রিচার্জের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার নগদ উদ্যোক্তা এজেন্ট একাউন্ট ০১৮২৮৩৪৯৬৬৬ নম্বরে ৩৫ হাজার ৬৪৫ টাকা ছিলো। গত ২৯ জুন রাত ৮টা ২০ মিনিটে ০১৬১৬৮২৫৯৮২ নম্বরে ২৫ হাজার ৪০ টাকা যায়। এর এক মিনিট পর ০১৮৮২৯৩৩৭৭৯ নম্বরে ৯ হাজার ২৪৫ ও ০১৭৮৬০০৫৯০৪ নম্বরে এক হাজার টাকা নিয়ে যায়।
মিজানুর রহমান বলেন, টাকা নেয়ার পর কোন ম্যাসেজ আসেনি। কোন ফোন কল আসেনি। ওটিপি নম্বর চায়নি। ওই সময় নগদ এ্যাপস কাজ করেনি। ম্যানুয়ালভাবে চেষ্টা করা হয়। তখন পিন ডু নট ম্যাচ উঠেছে। কিন্তু অটোমেটিক আমার একাউন্টের টাকা ক্যাশ ইন হয়েছে।
তখন একাউন্ট ব্লক ছিলো। কাষ্টমার কেয়ার থেকে পূনরায় একাউন্ট চালু করে দেয়। কিন্তু টাকা ক্যাশ ইন বিষয়ে কোন কিছু করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
তাই এ ঘটনায় সোমবার বরিশাল মহানগর পুলিশের কোতয়ালী মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন। থানার কর্তব্যরত অফিসার জানিয়েছে, পরে তার সাথে যোগাযোগ করবে।
মিজানুর রহমান জানান, তার মতো নগরীর ফলপট্টি এলাকার ভাষানচর ষ্টোরের আনোয়ার হোসেনেরও ৬০ হাজার টাকা নিয়েছে। এছাড়াও গীর্জা মহল্লা রোডের হাসান টেলিকম, সদর রোডের পপুলার টেলিকম, লঞ্চঘাটের নিলা টেলিকমসহ নথুল্লাবাদ, নতুন বাজার এলাকার নগদ উদ্যোক্তা এজেন্টের একাউন্ট নম্বর থেকে একইভাবে টাকা নিয়েছে।
ভাষানচর ষ্টোরের আনোয়ার হোসেন বলেন, ২৯ জুন সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে চারটি নম্বরে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। এ ঘটনার পর থানায় সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে।
আরেকজন ভুক্তভোগী বলেন, নগদের ব্যক্তিগত এজেন্ট থেকেও টাকা নাই হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে কোন অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার মেলে না।
আরেক ভুক্তভোগী মো. মেহেদি হাসান বলেন, বিভিন্ন ভাতার টাকা নগদ একাউন্টে আসে। অনেকের ভাতার টাকা আসার পর পায় না।
এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।
নগদ’র বরিশাল বিভাগীয় প্রধান মো. নাজমুল বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন বক্তব্যে দিতে পারবো না। মিডিয়া ও কমিউনিকেশনের একজন আছেন তিনি দিতে পারবেন।
মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশনের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক দেবব্রত মুখার্জী বলেন, টেকনিক্যালের সাথে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে বিষয়টি অবাস্তব।