4:37 pm , June 28, 2024

মো. জসিম জনি, লালমোহন প্রতিবেদক ॥ ঘর নয় যেন রেণু পোনার গুদাম। লালমোহন বদরপুর ইউনিয়নের দেবিরচর এলাকার বেড়িবাঁধের উপর একটি বসতঘর থেকে অবৈধভাবে পাচার করার উদ্দেশ্যে মজুদ রাখা ২২টি ড্রাম ও বালতিতে রাখা ৫০ লক্ষ গলদা/বাগদা রেণু পোনা জব্দ করা হয়েছে। এসময় পাচারের সাথে জড়িত দুজনকে আটক করে অর্থদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ২৭ জুন মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালনা করেন লালমোহনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এহসানুল হক শিপন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, লালমোহন বদরপুর ইউনিয়নের দেবিরচরসহ সেখানকার ৩টি স্পট দিয়ে প্রতিদিন ট্রলারে করে লক্ষ লক্ষ গলদা ও বাগদা রেণু নিরাপদে তেঁতুলিয়া নদী পাড়ি দিয়ে কালাইয়া-বাউফল হয়ে খুলনা যশোর পাচার করা হয়। লালমোহন উপজেলাসহ ভোলার চরফ্যাশন, তজুমদ্দিন, বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান উপজেলার রেণু সংগ্রহ করে রাতের দিকে নিয়ে আসা হয় লালমোহন বদরপুর এলাকায়। এখান থেকে সুযোগ বুঝে বোরহানউ?দ্দিন উপজেলার কুতুবা ইউ?নিয়নের ৪ নং ওয়া?র্ডের শিপন মাতাব্বর মা?ঝি ৩টি ট্রলারে করে রাতের আধারেই তেঁতুলিয়া নদী পাড় করে দেয়। লালমোহন নিরাপদ জোন নিশ্চিত করে এখানকার কয়েকজনের সাথে হাত মিলিয়ে পাচারকারীরা রাতের পর রাত রেণু পোনা পাচার করে আসছে। বিনিময়ে লালমোহনের ওই সিন্ডিকেট পায় নির্দিষ্ট হারে কমিশন। প্রতিটি উপজেলার একাধিক ব্যক্তি এই পাচারচক্রের সাথে জড়িত হয়ে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন। শক্তিশালী এই সিন্ডিকেট মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ছোট ছোট শিশু থেকে শুরু করে খুদ্র জেলেদের দিয়ে রেণু পোনা নিধন করায়। এর ফলে বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য মাছের রেণু ধ্বংস হচ্ছে।
লালমোহন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলী আহমেদ আখন্দ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এসময় ৫০ লক্ষ চিংড়ি রেণু, ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, পাচারের সাথে জড়িত মো. জসিম ও মো. সিরাজ নামে দুজনকে আটক করা হয়। রেণু তেঁতুলিয়া নদীতে অবমুক্ত করে জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। আটক দুজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রেণু ধ্বংস করে যারা এই ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলবে।