4:29 pm , June 24, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জন, দখলে রাখা ও মিথ্যা তথ্য দেয়ার পৃথক দুই মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত নায়েক ও তার স্ত্রীকে কারাদ- এবং জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার বরিশালের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মেহেদি আল মাসুদ কারাদন্ড ও জরিমানা করেন বলে বেঞ্চ সহকারী গাজীউল হাসান জানিয়েছেন।
দন্ডিতরা হলো-ঢাকা মহানগর পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত নায়েক ও আউটার সার্কুলার রোড রাজাবাগের গ্লোব নিবাসের পঞ্চম তলার বাসিন্দা মো. আলাউদ্দীন ঢালী এবং তার স্ত্রী মাকসুদা বেগম।
আলাউদ্দীন ঢালী বরিশালের মুলাদী উপজেলার তেরচর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ ঢালীর ছেলে। মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী গাজীউল ইসলাম বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের অব. নায়েক আলাউদ্দীন ঢালীর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ২২ মে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করে দুদক বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন। মামলায় অব. নায়েক আলাউদ্দীনের বিরুদ্ধে ১৯৮০ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সময়ে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দখলের রাখার অভিযোগ আনা হয়। ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দুদক বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে একমাত্র তাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট জমা দেন।
এ মামলার রায়ে আদালত আলাউদ্দীন ঢালীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। রায় ঘোষনার সময় উপস্থিত আলাউদ্দীন ঢালী জরিমানার টাকা জমা দিয়ে মুক্ত হয়েছেন।
বেঞ্চ সহকারী জানান, একই অভিযোগে স্ত্রীর বিরুদ্ধে করা মামলার এক ধারায় তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। অপর আরেক ধারায় স্ত্রীকে তিন বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ১৭ লাখ ৩১ হাজার ২৫ টাকা জরিমানা করা হয়।
স্ত্রী মাকসুদা বেগমের বিরুদ্ধে বরিশাল মহানগর পুলিশের কোতয়ালী মডেল থানায় ওই মামলা করা হয় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর। দুদক বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আল আমিন বাদী হয়ে ওই মামলা করেন।
মামলায় মাকসুদা বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত ৩০ লাখ ৩৮ হাজার ৯৭৫ টাকার সম্পদ অর্জন ও মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ আনা হয়। ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর উপ-সহকারী পরিচালক মো. আল আমিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে আদালতে চার্জশীট জমা দেন। মামলার চার্জশীটে স্ত্রীর সাথে স্বামী আলাদ্দীন ঢালীকেও অভিযুক্ত করেন।
কিন্তু রায়ে বিচারক স্ত্রীকে কারাদন্ড দিয়ে স্বামীকে খালাস দিয়েছেন। দন্ডিত স্ত্রীকে সাজা পরোয়ানায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।