4:11 pm , June 10, 2024

রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, কাউখালী প্রতিবেদক ॥ ‘আমরা অসহায়, আমাদের কেউ খোঁজ খবর রাখে না’ আক্ষেপ করে কথাগুলো বলেন দিনমজুর ফুয়াদ হোসেন।পিরোজপুরের কাউখালীতে দিনমজুর পরিবারটি পলিথিন দিয়ে ঘর তৈরি করে বসবাস করছেন। উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়নের দক্ষিণ শিয়ালকাটি গ্রামের ডরের বাড়ির সিকান্দার হাওলাদারের ছেলে ফুয়াদ হোসেনের (৫০) ছোট্ট ঘরটি ঘূর্ণিঝড় রিমালে গাছ পড়ে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। এখন থাকার মত তাদের কোন স্থান নেই। কোনমতে একটি ছোট ঘর তৈরি করে স্ত্রী ও ৭ সন্তান নিয়ে থাকতেন ফুয়াদ হোসেন। ঘূর্ণিঝড়ে তার থাকার শেষ আশ্রয়টুকু ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। অসহায় ফুয়াদ হোসেন বলেন, আমার সংসারে স্ত্রী ও ৭ ছেলে-মেয়ে রয়েছে। দুই মেয়ে স্থানীয় জোলাগাতি ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় ষষ্ঠ ও পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। দুই ছেলে স্থানীয় ফলোইবুনিয়া নূরানী মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে আমাকে খুব হিমশিম খেতে হচ্ছে। মানুষের বাড়িতে যেদিন কাজ করতে পারি সেদিন সংসারে কোনমতে খাবার খেতে পারি। কাজ না করলে ঘরের চুলা বন্ধ থাকে। এই অভাবের সংসারে কিভাবে ঘর মেরামত করে বসবাস করব। আমার মাত্র ৬ শতাংশ জায়গা রয়েছে, সরকার যদি ঘর তৈরি করে দিত তাহলে ছেলে-মেয়ে নিয়ে নিরাপদে থাকতে পারতাম। কোন সহযোগিতা না পেয়ে মানুষের কাছ চেয়ে পলিথিন এনে ঘর তৈরি করে বসবাস করছি। ফুয়াদ হোসেন ও তার স্ত্রী মানসুরা বেগম আক্ষেপ করে বলেন ‘আমরা অসহায় তাই কেউ খোঁজ খবর রাখে না। সবাই খোঁজ খবর রাখে বড়লোকদের। ঘূর্ণিঝড়ে মাত্র ১০ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, ২ কেজি আলু ও এক কেজি তেল পাইছি। স্থানীয় ফজলুর শিকদার ও বাবুল হাওলাদার বলেন, এই অসহায় পরিবারটি খুবই কষ্টের ভিতর দিন যাপন করছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য রনি জানান, আমি ক্ষতিগ্রস্ত ফুয়াদ হোসেনের বাড়িতে গিয়েছি। অসহায় পরিবারটির ঘর উঠাবার কোন অবস্থা নেই। এ ব্যাপারে শিয়ালকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমি স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে ওই পরিবারটির খোঁজ খবর নিয়েছি এবং ঘরের তালিকা তৈরি করেছি। যতদূর সম্ভব সহযোগিতা করব।