4:12 pm , June 7, 2024

মুলাদী প্রতিবেদক ॥ মুলাদীতে সরকারি কলেজের পরিত্যক্ত ভবন থেকে হাতবোমা উদ্ধারের ১০ দিনেও রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। মুলাদী সরকারি কলেজ ও উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ফটকে একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও হাতবোমার সঙ্গে জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে না পারায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৬ মে সন্ধ্যায় জনৈক ব্যক্তি মুলাদী সরকারি কলেজের পূর্বপাশের পরিত্যক্ত ভবনে তিনব্যাগ হাতবোমা সদৃশ বস্তু দেখে থানায় সংবাদ দেন। ওই দিন সন্ধ্যায় ভবনটি পুলিশ পাহারায় রেখে ঢাকায় বোমা নিস্ক্রিয় ইউনিটে সংবাদ দেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। গত ২৯ মে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এর বোমা নিস্ক্রিয়করণ ইউনিটের উপপরিদর্শক মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বে চার সদস্যের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং তারা তিনটি ব্যাগ থেকে ৩৭টি হাতবোমা উদ্ধার করে নিস্ক্রিয় করেন। ওই ঘটনায় ২৯ মে রাতে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মুলাদী থানায় একটি নাশকতা মামলা দায়ের করে।
স্থানীয়দের ধারণা, উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী নাশকতার লক্ষ্যে দুর্বৃত্তরা মুলাদী সরকারি কলেজের পরিত্যক্ত ভবনে হাতবোমাগুলো জড়ো করে থাকতে পারে। তবে হাতবোমা উদ্ধার ও নাশকতা মামলা করার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোনো রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
মুলাদী পৌরসভার বাসিন্দা জালাল আহমেদ বলেন, মুলাদী সরকারি কলেজের পূর্বপাশের পরিত্যক্ত ভবনটি উপজেলা পরিষদে প্রবেশ পথে অবস্থিত। কলেজের তিনতলা ভবনে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা এবং উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের গেটে ২/৩টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। কোনো ব্যক্তি হাতবোমার ব্যাগ নিয়ে কলেজের পরিত্যক্ত ভবনে প্রবেশের সময় ওই সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো এড়ানো সম্ভব নয়। এই সিসিটিভি ক্যামেরার রেকর্ডিং তদন্ত করলেই পুলিশ সহজে নাশকতার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে পারে। কিন্তু পুলিশ কেন তদন্ত করছে না এবং হাতবোমার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মুখোশ উম্মোচন করছেন না তা কারও জানা নাই।
এব্যাপারে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া বলেন, হাতবোমা উদ্ধার ও নাশকতা মামলাটি গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি। রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।