কাউখালীর জোলাগাতি মাদ্রাসায় খোলা আকাশের নিচে পাঠদান কাউখালীর জোলাগাতি মাদ্রাসায় খোলা আকাশের নিচে পাঠদান - ajkerparibartan.com
কাউখালীর জোলাগাতি মাদ্রাসায় খোলা আকাশের নিচে পাঠদান

3:40 pm , June 3, 2024

স্বরূপকাঠি প্রতিবেদক ॥ ঘুর্নিঝড় রিমলে বিধ্বস্ত কাউখালী উপজেলার ঐতিহ্যবিাহী জোলাগাতী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার পাঠদান চলে খোলা আকাশের নিচে। পাকা টিন শেড ভবন,কাঠের ঘর বিধ্বস্ত হওয়ায় ৬ টি শ্রেনী কক্ষ,অধ্যক্ষের অফিস কক্ষ, বঙ্গবন্ধু কর্নার, কম্পিউটিার,রুমের আসবাবপত্র র্সম্পূণ বিধ্বস্ত হয়। ফলে ওই প্রতিষ্ঠানের রেখা পড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম। শিক্ষক মন্ডলী সিদ্ধান্ত নিয়ে খোলা আকাশের নিচে ক্লাশ করানোর ব্যবস্থা করেছেন। মাদ্রাসটিতে নূরানী শিশু শ্রেনী থেকে ফাজিল পর্যন্ত ক্লাশগুলোর পাঠদান কার্যক্রম চালাতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রহিম।
সরেজমিনে ওই মাদ্রাসায় গিয়ে দেখাযায়, মাদ্রাসায় পুরানো আমলের লম্বা টিনের ঘর ২ রুম বিশিষ্ট আধাপাকা ভবন,৫ পাঁচ কক্ষ একটি ভন ছিল যার সবগুলোই বিধ্বস্ত হয়েছে। কোনটির ওপর গাছ পড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। মাদ্রাসার ১০ম শ্রনীর শিক্ষার্থী নাফিসা আক্তার বলেনর্,ঘূণঝড়ি আমাদের মাদ্রাসার উপর দিয়েই গেছে। সামনে আমাদরে পরীক্ষা। ক্লাস না করলে আমরা পিছিয়ে পড়বো। তাই রোদের মধ্যে খোলা আকাশরে নিচে আমাদরে ক্লাস করানো হচ্ছে।
মাদ্রাসার ছাত্র মো তানভীর বলেছে, এখনই ভবন নির্মানের উদ্যোগ না নিলে আমাদের ভবিষ্যৎ হুমকির সম্মুখীন। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের শ্রেনী ক্ষ নির্মান করা প্রয়োজন। অভিভাবক মো আবুল বাশার জানান, এ বিষয়ে এমপি মহোদয়ের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রহিম জানান ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত উপজলোর পুরাতন ওই মাদ্রাসাটি উপজেলার সর্ব দক্ষিনে ভান্ডারিয়া ও রাজাপুর উপজেলার পার্শবর্তী। ওই মাদ্রাসায় তিন উপজেলার ৯ টি গ্রামের ৭০০ ছাত্র ছাত্রী লেখা পড়া করে। ঘূর্নিঝড়ের আঘাতে পুরো মাদ্রাসাটি লন্ডভন্ড হয়েগেছে। কম্পিউটারসহ বহু আসবাবপত্র ও কাগজপত্র তছনছ হয়েগেছে। সামনে পরীক্ষা। ক্লাশ করাতে না পারলে শিক্ষার্থীদের মারাত্মক ক্ষতি হবে ভেবে খোলা আকাশের নিচে, মসজিদে, হোস্টেলের মধ্যে পাঠ দানে বাধ্য হচ্ছি। তিনি বলেন নদী নিকটবর্তী এ মাদ্রাসাটিতে সব দুর্যোগের সময় আাধা পাকা ভনটিতে মানুষ আশ্রয় নেয়।কিন্তু এবারের ঝড়ে তাদের চোখের সামনেই সব কিছু বিধ্বস্ত হয়েগেছে। ওই এলাকায় কোন সাইক্লোন শেল্টার না থাকায় মানুষ মারাত্মক ঝুকির মধ্যে বসবাস করে তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি বহুতল ভবন কাম সাইক্লোন শেল্টার নির্মান করনার আবেদ জানাচ্ছি।
শিয়ালকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মো. ছিদ্দিকুর রহমান জানান, এটা এই অঞ্চলের একটি পুরাতন মাদ্রাসা আমির্ ঊধ্বতনর্ কতৃপক্ষকে অনুরোধ করছি বষয়িটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য।
এ বিষয়ে উপজলো নির্বাহীর্ কর্মকতা (ইউএনও) মোঃ সজল মোল্লা বলেন, শিক্ষাদান আমাদরে কাছে গুরুত্বপূর্ন। ক্ষতিগ্রস্ত মাদ্রাসাটি পরিদর্শন করে বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অদ্রাধিকার বিত্তিতে মাদ্রাসাটি দেখা হবে বলে তিনি আস্বস্থ করেছেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT