স্বরুপকাঠিতে সেনা মেডিকেল কোরের অবসরপ্রাপ্ত সদস্য করেন প্রেসক্রিপশন ! স্বরুপকাঠিতে সেনা মেডিকেল কোরের অবসরপ্রাপ্ত সদস্য করেন প্রেসক্রিপশন ! - ajkerparibartan.com
স্বরুপকাঠিতে সেনা মেডিকেল কোরের অবসরপ্রাপ্ত সদস্য করেন প্রেসক্রিপশন !

4:22 pm , June 2, 2024

স্বরূপকাঠি প্রতিবেদক ॥ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল থেকে অবসর নেয়া মেডিকেল কোরের সদস্য নিজেকে ডাক্তার পরিচয়ে দিয়ে করছেন চিকিৎসা। রোগি আসলেই করেন প্রেসক্রিপশন। বিক্রি করছেন এন্টিবায়োটিক সহ সকল প্রকার ঔষধ।আবার নেইম প্লেটে লিখে রেখেছেন ‘ডাঃ মোঃ মনিরুল ইসলাম’ এবং প্রতিষ্ঠানের নাম রেখেছেন সেনা মেডিকেল হল। স্বরূপকাঠি উপজেলার ডুবি বাজারে একযুগ ধরে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন মোঃ মনিরুল ইসলাম।
তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আর্মি মেডিকেল কোরের মেডিকেল কোরে চাকরি শেষ করে বাড়িতে এসে নিজেকে একজন ডাক্তার  পরিচয় দিয়ে চেম্বার খুলে বসেন। সেনা মেডিকেল হল নামে সাইনবোর্ড টানিয়ে নিয়মিত রোগী দেখছেন। তার কোন সার্টিফিকেট ছিলো না। পরবর্তীতে ঢাকা থেকে এ এফ এম আই কোর্স করেন।
কোন ব্যক্তি এমবিবিএস বা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কলেজ থেকে ডাক্তারি পাস না করা পর্যন্ত ডাক্তার হিসাবে ঘোষণা দিতে পারেন না বা প্রেসক্রাইব করতে পারবেন না।
এলাকার লোকজন অভিযোগ করে বলেন, সে এলাকার কাউকেই তোয়াক্কা করেন না। নিজেকে সেনাবাহিনীর পরিচয় দিয়ে এই কাজগুলো করে যাচ্ছেন। এটা রীতিমতো অন্যায় করে যাচ্ছেন জনগনের সাথে।
স্থানীয় শহীদ মিয়া বলেন,তার চিকিৎসকের সহকারী হিসাবে চাকরি করার অভিজ্ঞতা থাকতে পারে কিন্তু এমবিবিএস বা চিকৎসা করার মত কোন অভিজ্ঞতা নেই।
এ বিষয়ে মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি অবসরপ্রাপ্ত  সিএমএইচ এর মেডিকেল সহকারী (তবে কাগজপত্র দেখাতে পারেননি)। ডাক্তারি পাস না করে ডাক্তার লিখতে পারেন কি না জানতে চাইলে বলেন, নেইম প্লেটটি আজকেই সরিয়ে ফেলবো। তিনি রোগিদের প্রেসক্রাইব করার কথা স্বীকার করেন।
স্বরূপকাঠি  উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফিরোজ কিবরিয়া বলেন, ঘটনাটি আমিও শুনেছি। সে একজন মেডিকেল কোরের সদস্য হয়ে ডাক্তার লিখতে বা প্রেসক্রিপশন করতে পারবেন না।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT