4:31 pm , May 31, 2024

ভা-ারিয়া প্রতিবেদক ॥ ঘূর্ণিঝড় রেমাল ৫ দিন অতিবাহিত হলেও বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানির সংকটে নাকাল পিরোজপুরবাসী। প্রায় ৩৬ ঘন্টা পুরো জেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার পর কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হলেও এখনো জেলার অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। এখনো অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু না হওয়ায় চরম দূর্ভোগে আছেন সাধারন মানুষ। তাছাড়া নিমাঞ্চল থেকে এখনো পানি অপসারিত না হওয়ায় পানিবন্দি মানুষের দূর্ভোগের শেষ নেই। ঘূর্ণিঝরে জেলার নি¤œাঞ্চলসমুহ ৬ থেকে ৭ ফুট পানিতে তলিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ হয় বাড়িঘর রাস্তাঘাট। বাদ যায়নি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পিরোজপুরের কাউখালী, ইন্দুরকানী, ভান্ডারিয়া ও মঠবাড়িয়া উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকা। তবে প্রশাসন বলছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য তারা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। জেলার উত্তর নামাজপুরের স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে বললে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন তাদের বলে সংযোগ পেতে হলে এলাকার প্রতিটা ঘর থেকে টাকা উঠিয়ে তাদের দিতে হবে। এছাড়া পিরোজপুর সদরের স্থানীয়দেও অভিযোগ, গত ৫ দিন ধরে সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে। পানি অভাবে আমরা চরম দূর্ভোগে আছি। ভা-ারিয়া উপজেলার ইব্রাহীম হাওলাদার জানান, ধাওয়া ফুলতলা, ভিটাবাড়ীয়া,রাধানগর, গৌরীপুর, নদমূলা, মাদার্শী ও ইকড়ি গ্রামে এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাধবী রায় জানান, এখন বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং যে সড়ক গুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তার তালিকা করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সমস্যাগুলো সমাধানে চেষ্টা চলছে।