4:30 pm , May 31, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল জেলাসহ নগরীতে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ৬৬ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। যার মধ্যে বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় ১২-৫৯ মাস বয়সের ২ লাখ ৭৩ হাজার ৭৩১ জন শিশুকে ২ লাখ আন্তর্জাতিক ইউনিটের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লাল রঙের একটি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও ৬-১১ মাস বয়সের ৩৩ হাজার ৯৭৬ জন শিশুকে ১ লাখ আন্তর্জাতিক ইউনিটের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন নীল রঙের একটি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশাল সিটি করপোরেশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন জানান, বরিশাল নগরের ৩০ টি ওয়ার্ডে ১২-৫৯ মাস বয়সের ৫০ হাজার জন শিশুকে লাল রঙের একটি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও ৬-১১ মাস বয়সের ৯ হাজার শিশুকে নীল রঙের একটি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। বরিশাল সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবার নগরীর ২২০টি কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ জনগোষ্ঠীর জন্য বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট এবং ফেরিঘাটসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ক্যাপসুল খাওয়ানোর ব্যবস্থা থাকে। পাশাপাশি ৫ শতাধিক কর্মী এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে। যার ব্যত্যয় এবারেও ঘটছে না।
এদিকে বরিশাল সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান বলেন, আগামী ১লা জুন জাতীয় সারাদেশে একযোগে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন করা হবে। যার ব্যত্যয় ঘটবে না বরিশাল জেলার ১০টি উপজেলাতেও। এ ক্যাম্পেইনের আওতায় বরিশাল জেলার ১০টি উপজেলায় ৮৭ টি ইউনিয়নের ২৫৮ টি ওয়ার্ডে ২ হাজার ৬০ টি অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র থাকবে। এছাড়া প্রতি উপজেলায় ১ টি করে অতিরিক্ত টিকাদান কেন্দ্রসহ সর্বমোট ২ হাজার ৬৯ টি টিকাদান কেন্দ্র থাকবে। যে সকল কেন্দ্রে ৪ হাজার ১৪০ জন স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে ১২-৫৯ মাস বয়সের ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ৭৩১ জন শিশুদের ২ লাখ ইউনিটের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লাল রঙের একটি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও ৬-১১ মাস বয়সের ৩৩ হাজার ৯৭৬ জন সকল শিশুদের ১ লাখ ইউনিটের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন নীল রঙের একটি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। প্রতিকেন্দ্রে ২ জন করে স্বেচ্ছাসেবক থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন প্রচারের জন্য স্ব স্ব এলাকায় নিয়মিত মাইকিং করার পাশাপাশি মসজিদ থেকেও মাইকিং করা হবে। ক্যাম্পেইনের আওতায় কোন শিশু যাতে ভিটামিন এ ক্যাপসুলে পাওয়া থেকে বাদ না পরে সেজন্য ১লা জুনের পরবর্তী চার দিন ঘরে ঘরে গিয়ে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে যে শুধু শিশুর অপুষ্টি বা অন্ধত্ব দুর হয় তা নয়। এতে ডায়রিয়া ও শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মনজুরুল ইমাম শুভ্র , জনসংযোগ কর্মকর্তা আহসান উদ্দিন রোমেল, মেডিক্যাল অফিসার ডা. সজল কুমার পান্ডেসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারি এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্সের সাংবাদিকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।