3:54 pm , May 26, 2024

শহিদুল ইসলাম জামাল, চরফ্যাসন ॥ ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাসনে জোয়ারের পানিতে নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে এ উপজেলায় জোয়ারের পানি স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অন্তত চার ফুট বেড়েছে। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ো বাতাসে চরফ্যাসন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত চরফ্যাসনে বিদ্যুৎসংযোগ বন্ধ রয়েছে। এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় বিঘœ হচ্ছে টেলিযোগাযোগ সেবাও। অধিকাংশ এলাকায় বন্ধ রয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট। এছাড়া দেখা দিয়েছে মোবাইল নেটওয়ার্ক জটিলতা। দুপুরে সরেজমিন উপজেলার চরমানিকা বেশকিছু এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বেড়িবাঁধের বাইরের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে মানুষের ঘরবাড়ি, মাছের ঘের, পুকুর তলিয়ে গেছে। উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরপাতিলা এলাকার বাসিন্দা নোমান বলেন, ‘আমাদের এখানে বেড়িবাঁধের অবস্থা একেবারে নাজুক। ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ তলিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। তাই আমরা আতঙ্কে রয়েছি।’ চরফ্যাসন পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের ডিজিএম মোঃ মিজানুর রহমান জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে জেলার অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে চরফ্যাসনেও ঝড়ের গতি বেশি। বিভিন্ন জায়গায় গাছ পড়ছে। এসব কারণে পল্লীবিদ্যুৎতের আওতাধীন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বাতাসের গতি কমে গেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হবে।
এ বিষয়ে চরফ্যাসন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রকৌশলী মো. বেল্লাল হোসেন বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় রবিবার জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নওরীন হক জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় উপকূলীয় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আমরা ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। উপজেলায় ১৫৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এবং প্রায় ৩০০ এর অধিক স্বেচ্ছাসেবী মোতায়ন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ফায়ার সার্ভিস, পল্লীবিদ্যুৎ অফিস ও সিভিল ডিফেন্সকে প্রস্তুত রাখাসহ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ২৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। উপকূলীয় মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। এছাড়াও স্বেচ্ছাসেবী ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যেমে টিম গঠন করে স্থানীয় এলাকায় জনগণকে সচেতন ও সর্তক থাকতে কন্ট্রোল রুমের মধ্যে দিয়ে প্রচার প্রচারণা জোরদার করা সহ উপকূলের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি চলছে।