4:32 pm , May 25, 2024

উজিরপুর উপজেলা নির্বাচন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নৌকা প্রতীক নিয়ে বিনা ভোটে নির্বাচিত ৪ ইউপি চেয়ারম্যান সহ ৬ চেয়ারম্যানের সমর্থন ও উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম জামাল হোসেন, উজিরপুর পৌরসভার মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো: গিয়াস উদ্দিন বেপারী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবালের পক্ষে নাটকীয়ভাবে সমর্থন দেওয়ার পর অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছ কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী হাফিজুর রহমান ইকবালের-কর্মী সমর্থকরা। গত দুই দিনে তাদের হামলার শিকার হয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মজিদ সিকদার বাচ্চু’র কর্মী সমর্থকরা। এ ঘটনায় ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উজিরপুরের রাজনীতিতে দীর্ঘ দিন ধরে আব্দুল মজিদ সিকদার বাচ্চুর সাথে হাফিজুর রহমান ইকবালের বিরোধ চলছে। বিগত নির্বাচনে দলের মনোনিত হয়ে নৌকা প্রতীক পেয়ে উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আব্দুল মজিদ সিকদার বাচ্চু। ওই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে মাঠে ছিলেন হাফিজুর রহমান ইকবাল। এরপর স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য শাহে আলম তালুকদারের সাথে সু সর্ম্পক রেখে নিজের অনুসারীদের নিয়ে মাঠ দাবিয়ে বেড়ানো হাফিজুর রহমান ইকবাল আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকার কারনে আব্দুল মজিদ সিকদার মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। বামরাইল ইউপি চেয়ারম্যান মো: ইউসুফ হাওলাদারের বে- ফাঁস মন্তব্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠে উজিরপুরের নির্বাচনী মাঠ । গত ১৬ মে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজুর রহমানের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে বলেন, ‘হাসনাত ভাইর দোয়া নিয়া নাইম্মা গেছি, ধরমু ঘেডি-দিমু মাডি, কিসের…. কান্নাকাটি। এর পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম জামাল হোসেন ও সাধারন সম্পাদক পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিন বেপারী প্রকাশ্যে সমর্থন দেয় হাফিজুর রহমান ইকবালকে। তাদের সাথে হারতার এক উঠান বৈঠকে উপজেলার ৬ ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের কাপ-পিরিচ প্রতীকের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করার পর বেপরোয়া হয়ে উঠে হাফিজুর রহমান ইকবালের কর্মী সমর্থকরা। আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বাদল অভিযোগ করে বলেন, একজন ইউপি চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে একজন প্রভাবশালী সংসদ সদস্যের কথা বলেছেন। ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বলেছেন ‘ধরমু গেডি, দিমু মাডি’। তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হলো না কেন ? নির্বাচনী মাঠে ভোটাররা আতংকে রয়েছেন। দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সুখেন্দ্র শেখর বৈদ্য বলেন, দলীয় কোন বৈঠক বা সভা না করে উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ দু নেতা ৬ ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে একজন প্রার্থীর পক্ষে ভোটের মাঠে নামার কারনে উজিরপুরের ভোটাররা আতংকে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সালাহউদ্দিন শিপু বলেন, দলের কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল হোসেন ও সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন বেপারী তাদের একক সিদ্ধান্তে এক প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমেছেন। তাদের মাঠে নামার পর নির্বাচনী পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।