3:59 pm , May 23, 2024

স্বরূপকাঠি প্রতিবেদক ॥ স্বরূপকাঠিতে নির্বাচন পরবর্তি সহিংসতায় জলাবাড়ী ও গুয়ারেখা ইউনিয়নে দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জলাবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশীষ বড়ালসহ ৯ জনের নামোল্লেখসহ আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় মামলা করেছেন পরিতোষ মিস্ত্রী কলিঙ্গ। গুয়ারেখা ইউনিয়নে মাসুদ গাজীসহ ৫ জনের নামোল্লেখ ও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে জয়ন্ত ঢালী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পরিতোষের দায়ের করা মামলার আসামী ফয়সাল সিকদার ও সাইফুল মোল্লাকে এবং জয়ন্ত ঢালীর মামলার আসামী মাসুদ গাজীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
জানাগেছে ২২ মে বুধবার দুপুরে জলাবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম জৌসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ব্রীজের ঢালে সাবেক চেয়ারম্যান আশীষ বড়ালের নেতৃত্বে¡ পরিতোষ মিস্ত্রী কলিঙ্গ’র(৬২) ওপর হামলা চালানো হয়।
জানাগেছে, ২০০১ সালের পর ওই এলাকায় সর্বহারা পরিমল বাহিনীর বিচরনকালে পরিতোষ মিস্ত্রী কলিঙ্গ পরিমল বাহিনীর সদস্য ছিলেন। এসময় প্রতিপক্ষ হিসেবে আশীষ বড়াল অপর একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ওইসময় কলিঙ্গ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়।
সদ্য শেষ হওয়া নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরিতোষ কলিঙ্গ মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম মাঈদুল ইসলামের নির্বাচন করেছেন। অপরদিকে আসামী আশীষ বড়াল আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হকের নির্বাচন করেন। নির্বাচনে আব্দুল হকের বিজয় হয়। ২২ মে দুপুরে আশীষ কুমার বড়াল ও তার লোকজন পরিতোষের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
পরিতোষ মিস্ত্রী বলেন, আশীষ বড়ালের সাথে পূর্ব শত্রুতা বিদ্যমান। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম মঈদুল ইসলামের নির্বাচন করেছেন। নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হক বিজয় লাভ করেছেন। নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আব্দুল হকের সমর্থক আশীষ কুমার দলবল নিয়ে এসে আমার উপর হামলা চালিয়েছে।
আশীষ কুমার বড়াল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পরিতোষের সাথে তার বিরোধ রয়েছে। নির্বাচনের সময় বলেছে মোটরসাইকেল নির্বাচিত হলে আমাকে দেখিয়ে দেবে । নির্বাচনের পরের দিন তাকে ধরে বিষয়টি জানতে চেয়েছি। এসময় তার সাথে একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। বাকি সব মিথ্যা।
এদিকে উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়নের বাটনাতলায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী এসএম মাঈদুল ইসলামের কর্মী জয়ন্ত ঢালী বাদী হয়ে থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এইচ এম শাহীন বলেন, থানায় দুটি মামলা হয়েছে। ওই দুই মামলায় ফয়সাল সিকদার, সাইফুল মোল্লা ও মাসুদ গাজীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।