নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডে সিটি কর্পোরেশনের নিয়ম ভেঙ্গে ভবন নির্মানের অভিযোগ নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডে সিটি কর্পোরেশনের নিয়ম ভেঙ্গে ভবন নির্মানের অভিযোগ - ajkerparibartan.com
নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডে সিটি কর্পোরেশনের নিয়ম ভেঙ্গে ভবন নির্মানের অভিযোগ

3:53 pm , May 23, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডে সিটি কর্পোরেশনের আইন অমান্য করে চলাচলের রাস্তা থেকে নির্ধারিত দূরত্ব না রেখে ভবন নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৫ এপ্রিল এ ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর এবং সিটি কর্পোরেশনে এই অভিযোগ দিয়েছেন ২২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. মামুন হোসেন। প্রায় দেড় মাস আগে অভিযোগ দেয়া হলেও এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। অবৈধভাবে ভবন নির্মান কাজ অব্যাহত রেখেছেন ভবন মালিক মো. আবুল বাশার। তার দাবি যাদের কাছ থেকে জমি কিনেছেন তারাই এখন কোন কারন ছাড়া ভবন নির্মান কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব নিয়মের মধ্যে থেকেই তিনি নির্মানকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সিটি কর্পোরেশন সূত্র জানায়, চারতলা ভবনের ২ তলার ছাদ দেয়া শেষ হওয়ার পর তারা অভিযোগ পেয়েছেন। তাই নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি এখন সার্ভেয়ার শাখায় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জমির সাবেক মালিক মো. মামুন হোসেন জানান, ২২ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বগুড়া কাজীপাড়া এলাকার পাবলিক হেলথ অফিস সংলগ্ন ২য় লেনে হাওলাদার ম্যানশনের সামনে ৪ তলা ভবনের কাজ চলছে। তাদের কাছ থেকে জমি কিনে ভবন নির্মান করছেন মো. আবুল বাশার। জমি বিক্রী করলেও আবুল বাশার ভবন নির্মানের সময় তার পূর্বের কথা না রেখে তাদের (মামুন) বাড়ির চলাচলের ৯ ফুট রাস্তার মধ্যে এসে ভবনের কলম গেঁথেছেন। এছাড়া সামনে সিটি কর্পোরেশনের যে রাস্তা রয়েছে তা থেকেও নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখেনি। এ জন্য চলাচলের বিড়ম্বনা সৃষ্টি হচ্ছে এবং নির্মানকাজের কারনে পথচারীরা রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে। নির্মানকাজ শুরুর পর আবুল বাশারকে বাধা দেয়া হলে তিনি তাতে কর্নপাত না করে ৪ তলা ভবনের এক তলা শেষ করে দ্বিতীয় তলার ছাদ দিয়েছেন। উল্টো বাধা দেয়ার কারনে মামুনের পিতার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগও দিয়েছিলেন।
সিটি কর্পোরেশন থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন মামুন। অভিযোগ দেয়ার কারনে এখন প্রতিদিন আবুল বাশারের হুমকির শিকার হচ্ছেন বলেও জানান মামুন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রামীন ব্যাংক কর্মকর্তা মো. আবুল বাশার বলেন, যারা অভিযোগ দিয়েছেন তাদের কাছ থেকেই ২০২২ সালে ৪ শতাংশ জমি কিনেছেন। যারা রাস্তা আটাকানোর অভিযোগ দিয়েছেন ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে ওই রাস্তায় তার নিজের কেনা দশমিক ২০ পয়েন্ট জমি ছাড়া আছে। এছারা ভবনের চারপাশে দশমিক ৮ মিটার জমি ছেড়ে নিয়মানুযায়ী ভবনের কাজ করছেন। অভিযোগকারী মামুন কিছুই করেনা। তার কোন কাজ নেই তাই হয়ত এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে অন্যকে হয়রানীর চেষ্টা করছে। হুমকি দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি এই এলাকায় নতুন এসেছেন, আর অভিযোগকারীরা এলাকার ৪০ বছরের বাসিন্দা। তাদের ভয়ে উল্টো তিনিই আতংকিত। তাদের বিরুদ্ধে এজন্য থানায় লিখিত অভিযোগও দিয়েছিলেন। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিষয়টি মিমাংসা হওয়ার পর ভবন নির্মান কাজ শুরু করেছেন।
সিটি কর্পোরেশনের রোড ইন্সপেক্টর রাজিব বলেন, অভিযোগ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। চারতলা ভবনের দুইতলা ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। যখন ভবন নির্মান শুরু করা হয় তখন অভিযোগ পাননি। বর্তমানে বিষয়টি তিনি সিটি কর্পোরেশনের সার্ভেয়ার শাখায় হস্তান্তর করেছেন। পরবর্তি যে কোন ব্যবস্থা এই শাখার মাধ্যমেই নেয়া হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT