4:03 pm , May 21, 2024

ভা-ারিয়া প্রতিবেদক ॥ অনিয়ম, দূর্নীতি আর পেশী শক্তির বলে পিরোজপুরের টগরায় নির্মিত হচ্ছে এক কিলোমিটার বেরীবাঁধ। ঢালের মাটি কেটে বাঁধ নির্মান, নির্ধারিত মাপের চেয়ে কম চওড়া, নিয়ম মাফিক মালামাল ব্যবহার না করে তাড়াহুরা করে কাজ শেষ করার পায়তারা করায় জনরোষে পড়েছে। ফলে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানাগেছে, বন্যা থেকে রক্ষার জন্য পিরোজপুর- মঠবাড়িয়া সড়কের কঁচা নদের টগড়া প্রান্তের প্রায় ১ কিলোমিটার বেরীবাঁধ নির্মানের উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফেরীর উত্তর পাশের অংশের ঠিকাদার কাজটি সম্পন্নে সিডিউলের কিছুটা অনুসরন করলেও দক্ষিন পাশের অংশের ঠিকাদারের কাজের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাঁধের কোন কোন জায়গায় নির্ধারিত মাপের চেয়ে কম চওড়া করা ও মাটি ড্রেসিং না করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাছাড়া দায়সারা ভাবে নির্মান ও নিয়ম মাফিক ভাবে না করেই কোন মতে বস্তা ফেলে রাখা হচ্ছে। আর বাঁধা দিলেই জোড়করে লোকজন দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে বাঁধের কাজ করাচ্ছেন ঠিকাদার। তাছাড়া ঢাল থেকে মাটি কেটে বাঁধ দেয়ায় অনেক জায়গা থেকে বাঁধ দেবে গেছে বলে জানান একাধীক এলাকাবাসী। তারা বলেন, বেরীবাঁধটি সিডিউল মত হচ্ছে না। তাই তারা সিডিউল মত কাজ করার দাবি জানান। সংশ্লিষ্ট পাড়েরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান তালুকদার শাওন বলেন, এই বেরীবাঁধটি ছিল এ এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি। কিন্ত ঠিকাদারের অবহেলার কারনে বেরীবাঁধের মাটি কাজ ঠিকমত হয়নি। ফলে ক্ষিপ্ত হয়েছে এলাকাবাসী সম্প্রতি মানববন্ধন করেছে। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করেও কোন সমাধান মেলেনি বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে বেরীবাধে কর্মরত জাহিদুল ইসলাম বলেন, এই বেরীবাঁধের ঠিকাদার হল পটুয়াখালীর কামাল হোসেন। অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, বারবার বেরীবাধ ঠিক করার পরও বেরীবাঁধের বিভিন্ন অংশে ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না। এ প্রতিনিধির দায়সারা উত্তর দিচ্ছেন। পিরোজপুর বাপাউবো উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আবু জাফর মো: রাশেদ খান জানান, এ বিষয়ে তিনি কোন তথ্য দিতে রাজী হননি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে পরে জানানো হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য: পিরোজপুর জেলায় ৩৪৯ কিলোমিটার বেরী বাঁধ রয়েছে । এর মধ্যে প্রায় ১৪৪ কিলোমিটার বেরীবাঁধই রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে।