নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্যের উত্তাপে দূর্ভোগ চরমে নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্যের উত্তাপে দূর্ভোগ চরমে - ajkerparibartan.com
নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্যের উত্তাপে দূর্ভোগ চরমে

4:20 pm , May 20, 2024

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ দুঃসহ তাপ প্রবাহের পরে বহু কাঙ্খিত বৃষ্টিতে বরিশালের সাধারন মানুষের প্রাণ শিক্ত হলেও নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্যের উত্তাপে জনজীবনে অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে। গত কয়েক মাস ধরে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি সাধারন মানুষের দূর্ভোগকে সব বর্ণনার বাইরে নিয়ে গেছে। বাজারে চাল, ডাল, আটা, চিনি আর ভোজ্য তেলের পরে নতুন দূর্ভোগ সৃষ্টি করেছে ডিমের মূল্য বৃদ্ধি। মাছ-গোশতের দাম অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রমের পরে নি¤œ-মধ্যবিত্ত পরিবারের পুষ্টির যোগানদার ডিম এখন ধরা ছোয়ার বাইরে। বরিশালের বাজারে গত সপ্তাহ থেকে প্রতি ৪টি ডিম বিক্রী হচ্ছে ৫২ টাকা করে। ব্রয়লার মুরগী থেকে সব ধরনের মুরগী আর গরু-খাশী’র গোশতের অগ্নিমূল্য ইতোপূর্বে সাধারন মানুষের আমিষের ঘাটতি তৈরী করলেও এখন আর কারো কিছু করার নেই বলেই মনে হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগীর কেজি পৌনে ৩শ টাকা। সোনালী ও কক-এর দামও সাড়ে ৩শ টাকা থেকে সাড়ে ৪শ টাকার কাছাকাছি। গরুর গোশতের কেজি ৮শ টাকা ছুতে চলেছে। খাশি ১৪শ টাকা কেজি। বিভিন্ন সবজির দামও ইতোপূর্বের সব রেকর্ড ছাপিয়ে চলেছে। এসব কিছুর মধ্যে বরিশালে ‘বাজার মনিটরিং’ নামের কর্মকান্ডটি ইতোমধ্যে ‘কাগুজে বাঘ’এ পরিনত হয়েছে। ৬০ টাকা কেজির নিচে বরিশালের বাজারে কোন সবজি নেই। বেগুনের চাহিদা রমজানের পর্যায়ে না থাকলেও এখনো কেজি ৯০ টাকা। গত দু মাসে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২-৩টাকা বৃদ্ধির পরে মাঠে মাঠে বোরো ধান কর্তনের উৎসবে চলতি মাসে নতুন করে আর দাম না বাড়লেও ইতোপূর্বেই তা সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ‘স্বর্ণা’ নামের মোটা চালের কেজিও এখন ৫০ টাকা। ‘ বিঅঅরে -২৮ বা আঠাশ-বালাম’ বিক্রী হচ্ছে ৫৪-৫৬ টাকা কেজি দরে। মধ্যম ভালমানের মিনিকেট চাল বিক্রী হচ্ছে ৬৬-৬৮ টাকা কেজি। আটার কেজিও প্রায় ৫০টাকা ।
সয়াবিন তেল ১৭৫-১৮০ টাকা লিটার। চিনির কেজি এখনো ১৪০-১৪৫ টাকা। ভাল আবাদ ও উৎপাদন নিয়ে ভরা মৌসুম শেষ হলেও বরিশালের বাজারে পেয়াঁজের কেজি এখন ৬৫-৭০টাকা। রসুন ১৮০ থেকে দুশ টাকা কেজি। আদার কেজিও দুশ টাকা ছুই ছুই করছে। ভরা মৌসুমে রেকর্ড উৎপাদনের পরে কৃষকরা ভাল দাম না পেলেও এসময়ে অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে বরিশালে বাজার এখন প্রতি কেজি গোল আলু বিক্রী হচ্ছে ৫০ টাকা।
এরসাথে সবজির অগ্নিমূল্য পরিস্থিতিকে আরো একধাপ নাজুক করে তুলেছে। বরিশালের বাজারে ৬০ টাকা কেজির নিচে কোন ধরনের সবজি মিলছে না। কাঁচা মরিচের কেজি দেড়শ টাকার ওপরে। অথচ সমাপ্তপ্রায় রবি মৌসুমে বরিশালে কৃষি অঞ্চলে প্রায় ১৫ লাখটন সবজী উৎপাদন হচ্ছে। যা চাহিদার অনেক বেশী। এমনকি দুধ, গোসত ও ডিমের মত প্রটিন সমৃদ্ধ প্রতিটি খাদ্য সামগ্রীর উৎপাদনও বরিশাল অঞ্চলে চহিদার অনেক বেশী হলেও অগ্নিমূল্যের কারণে তা আমজনতা ভাগ্যে জুটছে না। ফলে সব বয়সী মানুষের শরীরে আমীষের ঘাটতি দেখা দেয়ার শংকার কথা বলেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
প্রতিটি নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্য বরিশালের সাধারন মানুষের দূর্ভোগকে সব বর্ণনার বাইরে নিয়ে গেছে ইতোমধ্যে। বরিশালের প্রতিটি কাঁচা বাজর থেকে শুরু করে মুদি দোকানগুলোতে কান পাতলেই আমজনতার হতাশার সাথে ক্ষোভের কথাও ভেসে আসছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT