4:09 pm , May 19, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীতে নির্মানাধীন ভবনে চাঁদাবাজি বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে মহানগর পুলিশ। এজন্য নির্মানাধীন ভবনে ফেষ্টুন টানিয়ে দিয়েছে পুলিশ। রোববার থেকে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলে বরিশাল মহানগরের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিন) মো. আলী আশরাফ ভুঞা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, মহানগর পুলিশের চার থানা এলাকার নির্মানাধীন ভবনে “বিশেষ বিজ্ঞপ্তি” নামের এ ফেষ্টুন টানানো হয়েছে। পুলিশ ভবনের নির্মান কাজ পর্যবেক্ষন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি, সহকারী পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার ও মহানগর পুলিশের কন্ট্রোলরুমের নম্বর দেয়া রয়েছে।
সেখানে বিজ্ঞপ্তিতে লেখা রয়েছে এ বাড়ির নির্মাণ কাজ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ পর্যবেক্ষণ করছে। “বাড়িওয়ালা নিজ পছন্দমতো সুবিধাজনক জায়গা থেকে ইট, বালু, রডসহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় করবেন”। “কেউ ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন প্রকার নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় ও বিক্রয়ের চেষ্টা করলে অথবা চাঁদা দাবি করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে”।
“যে কোনো চাঁদাবাজি সংক্রান্ত অভিযোগ থাকলে নি¤œলিখিত নম্বর যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে”।
এ বিষয়ে উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, বরিশাল মহানগর পুলিশের আওতাধীন চার থানা এলাকার নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে “বিশেষ বিজ্ঞপ্তি” এর ফেস্টুন লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে। যাতে করে যে কোনো ধরনের চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটলেই তাৎক্ষণিক আমাদের পুলিশ সদস্যদের বিষয়টি অবগত করতে পারেন। আর আমরাও এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারবো।
চাঁদাবাজি বন্ধে এ ধরনের উদ্যোগ চলমান থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্মাণাধীন ভবনে বিভিন্ন কৌশলে চাঁদাবাজির বেশ কিছু মৌখিক অভিযোগ রয়েছে আমাদের কাছে। যার প্রেক্ষিতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ উদ্যোগী হয়েই এ কাজটি করছে। এরপরও যারা সতর্ক হবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এদিকে নির্মাণাধীন ভবন মালিকদের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় থাকা বিভিন্ন বালুর খোলা ও ইটের খোলা থেকে ইট-বালু কেনার জন্য বাড়ির মালিকদের বাধ্য করা হয়। পাশাপাশি তাদের কেউ কেউ এলাকাভিত্তিক রড, সিমেন্ট, স্যানিটারি ফিটিংস, বৈদ্যুতিক সামগ্রীসহ বিভিন্ন সামগ্রীর খুচরা ব্যবসায়ী কিংবা ব্যবসার সাথে জড়িত। পণ্যের গুনগত মান থাকুক বা না থাকুন সেখান থেকেই ইচ্ছের বিরুদ্ধে পণ্য কিনতে বাধ্য করা হয় বাড়ির মালিকদের।
এছাড়া অসুস্থতা, পিকনিকসহ বিভিন্ন কৌশলে নির্মাণাধীন ভবন মালিকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে আসছিলো একটি মহল। বিষয়টি জানতে পেরে প্রাথমিক সতর্কতা হিসেবে ফেস্টুন লাগানোর এ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে পুলিশ।